নিহত ডা. সাবিরার মামাতো ভাই রেজাউল হাসান জুয়েল বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি ওই বাসার সাবলেটে থাকা মডেল কানিজ সুর্বণাকে সন্দেহ করেছে। কানিজ এবং এক থেকে দুইজন মিলে লিপিকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে মামলার এজাহারে বাদি অভিযোগ করেছেন। মামলায় অন্য সাবলেটে থাকা নূরজাহানকে বাদি সন্দেহ করেননি। কারণ তিনি ঘটনার দিন ছিলেন। তিনি ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়ে আর আসতে পারেননি।
সূত্র জানায়, কানিজ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি দারাজ অনলাইনে কাজ করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কানিজ লিপির ভাড়া বাসায় সাবলেটে উঠেছিলেন। তিনি এখন ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের হেফাজতে আছেন। তবে মামলার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে ওই বাসায় দীর্ঘদিন থাকার কারণে ডা. লিপির বাসায় কে? যাতায়াত করতেন তিনি তা জানতেন। তবে রবিবার রাত ১০ টার দিকে লিপির কাছে কে? এসেছিলেন তা কানিজ তাকে দেখেনি বলে দাবি করেছেন।
পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরা এ খুনের সঙ্গে জড়িত নয় বলে বার বার দাবি করেছে। তদন্তকারীরা হত্যাকারীকে চিহ্নিত করার জন্য বাসার দরজার ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও ভিকটিমের বাসা থেকে ৬ বাসার পর যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করেছিল ডিবি পুলিশ সে ফুটেজ থেকে খুনিকে চিহ্নিত করা যায়নি।
সোমবার দুপুরে কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের ৫০/১ ভাড়া বাসা থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালটেন্ট (সনোলজিস্ট) চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৮) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে ওই বাসায় আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যান। পরে ফায়ারের কর্মীরা সাবিরার শরীরে রক্তাক্ত চিহ্ন দেখে বুঝতে পারেন যে এটি একটি খুন। পরে পুলিশ গিয়ে ডা. সাবিরার লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পুলিশের কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র বলেন, ‘থানায় ভিকটিম মামলা দায়ের করেছে। আমরা তদন্তের মাধ্যমে খুনিকে চিহ্নিতের চেষ্টা করছি।’ মামলা বাদি সাবলেটে থাকা কানিজকে কেন সন্দেহ করলো জানতে চাইলে জানান, ‘মামলার বাদী যে কাউকে সন্দেহ করতে পারে। তাই বলে এই নয় যে, তিনি খুনি। আমরা খুনিকে শনাক্তের চেষ্টা করছি।’