শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শার্লী ঢাকা তিতুমীর কলেজের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। ফকিরহাটের আট্টাকা গ্রামের বাসিন্দা মৃত মহিউজ্জামান শান্ত’র কন্যা শার্লী বাবার মৃত্যুর পর ঢাকা মিরপুরে চাচার বাসায় থেকে লেখাপড়া করতো। করোনাকালে সে ফকিরহাট চলে আসে এবং ঈদের সময় সাতক্ষীরা সোনালী ব্যাংকে চাকরিরত চাচির কাছে বেড়াতে গিয়েছিলা। শুক্রবার চাচার সাথে মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে খুলনার লবণচরা পৌঁছালে পাশের রাস্তা থেকে একটি সাইকেল হঠাৎ তাদের সামনে ওঠে।
উক্ত সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে মোটরসাইকেল ব্রেক করলে পিছনে বসা শার্লী ছিটকে রাস্তার পাশের রেলিংয়ের উপর পড়ে যায়। এতে তার মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগলে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে প্রথমে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
তার এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মেধাবী ও শান্তশিষ্ট হওয়ায় সকলের কাছে শার্লী প্রিয় ছিলো। প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা এমন একজন মেয়ের মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়ি আট্টাকাতে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
মেহেরুন্নেছা শার্লীর মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দ্রুত বাড়ি নিয়ে আসা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়।