দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর এক নারী মাস্টার সার্জেন্টকে একই পদমর্যাদার এক পুরুষ কর্মী যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারী সার্জেন্ট আত্মহত্যা করেন। এরপর শুক্রবার এর জেরে পদত্যাগ করলেন দেশটির বিমান বাহিনীর প্রধান লি সেয়ং-ইয়ং। অভিযুক্ত ওই মাস্টার সার্জেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পরদিনই শুক্রবার পদত্যাগ করলেন লি। ওই মাস্টার সার্জেন্টের বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানি ও নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত মার্চ মাসে এ ঘটনা ঘটে।
এক বিবৃতিতে লি বলেন, ‘আমি দেশের নাগরিকের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমি এজন্য ভীষণ দায়ভার অনুভব করছি এবং আমার পদত্যাগ প্রস্তাব করছি।’
গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগীর পরিবার প্রেসিডেন্ট মুনের কার্যালয়ে পিটিশন জমা দেয় এবং এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করে। এই পিটিশন দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ৩ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ এতে স্বাক্ষর করে।
প্রেসিডেন্ট মুন বৃহস্পতিবার তদন্তের নির্দেশ দেন। বিমান বাহিনী কীভাবে এ ঘটনা সামাল দিয়েছে সেটিও তদন্ত করতে বলেছেন তিনি। এ ঘটনায় দু’জন সুপারভাইজরকে বরখাস্ত করেছে বিমান বাহিনী।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সামরিক প্রসিকিউটররা লি’র ঘাটিতে এবং সদর দফতরে সামরিক পুলিশের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ বার বার আসতে থাকার প্রেক্ষিতে আইন ও শাস্তি কঠোর করার দাবি উঠেছে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সামরিক বাহিনীর কোনো সদস্যের অন্যায়ের ব্যাপারে বাহিনী এখনও বেশ নরম।