দেশের ৬৪ টি জেলা সহ সকল উপজেলার সাব রেজি স্ট্রারি অফিসে মোট ১৮০০০ হাজার নকল নবিশ বা এক্মটা মোহরার আছেন। বৃহওর ফরিদপুরে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রায় ১০০০ হাজার নকল নবীশ বা এক্মটা মোহরার। এরা সবার উপকার করলেও এদের জীবন মান সম্মান সংসার সন্তান নিয়ে কেউ ভাবেন না। সাবরেস্ট্রারি অফিসে ১৫/২০ বছর যাবৎ চাকুরী করেন এমন বহু উচ্চ শিক্ষিত নারী/ পুরুষ আছেন। এরা এমনই লজ্জা নিয়ে কাজ করেন, বউ বাচ্চা বা স্ত্রী পরিবারের কাছে বলতে পারেন না যে, মাসে কত টাকা বেতন পান। জমিদারে জমি বা পয়সাওয়ালা লোকের দলিলের নকল খাতা দেখে লিখলে হয় নকল এবং সম্পাদন করা দলিল খাতায় লিপিবদ্ধ করাকে বলে দলিলের দায়মুক্তি করন। বা সরকারি বালামে লিখে এন্টি করা।
একজন নকলনবিশ বা এক্মটা মোহরার কোন দিন নকলের কাজ পান আবার কেউ পান না। একজন নকল নবিশ প্রতি পাতা নকল লিখে পান মাত্র ২৪ টাকা। দিনে হয়ত ২থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আায় করতে পারে। দলিলের না পাইলে শূন্য হাতে বাড়ী ফিরতে হয়। বিগত করোনালীন অবস্হার মধ্যে দেশের ৮০% মানুষের দলিলের কাজ বন্ধ ছিল। এর মধ্যে দেশের ১৭,০০০ হাজার এবং বৃহওর ফরিদপুরের প্রায় এক হাজার নকল নবিশ এক্মটা মেহরার চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। করোনালীন অবস্হায় এদের খবর কেউ নেয়নি। পায়নি সরকারি ভাবে বা রাজনৈতিক ভাবে কোন সাহায্য ও সহযোগীতা। অথবা কোন প্রণোদন ভাতা! জানাযায়, ১৯৫৮ সালে পূর্বপাকিস্তানের সময় বিভিন্ন বিভাগে জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ আদালতের সাবেক সকল নকল নবিশদের স্হায়ী করন করে সরকারের রাজস্বের আওতায় নিলেে বিগত ৪৮ বছরের ও সাবরেস্ট্রারি অফিসের নকল নবিশদের ভাগ্য খুলেনি।
১৯৭৩ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সাথে নকল নবিশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করলে জাতির জনক দেশের নকল নবিশদের স্হায়ী করনের বিষয় ভাষনে বললেন, জাতির জনকের দাবি আজও পুরন হয়নি। ১৯৮৪ সালে পলটন ময়দানের জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার দাবি পুরনের অঙ্গিকারও করেন এমন দাবি নকল নবিশদের। পাশাপাশি নকল নবিশদের স্হায়ী করনের দাবির পক্ষে পবিত্র সংসদে এবং বিভিন্ন জনসভায় তাদপর জাতীয় করনের বিষয় আশা দিলে আজও ১৮০০০ হাজা নকল নবিশের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পরে আছে।
এই বিষয় কথা হয় ফরিদপুর এক্মটা মোহরার এসোসিয়েশন নিবঃ নং ১৭৪ এর সহ সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া, কোষাধ্যক্ষ অসীম কুমার সরকার, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রোকসানা আক্তার বাবলি,সদর কমিটির সম্পাদিকা শাহীনুর আক্তার, সদর কমিটির যুগ্ন -সম্পাদক মোঃ শহীদুল ইসলামের সাথে। তারা সকলেই তাদের চরম মানবেতর জীবন যাপনের কথা উল্লেখ করে, ১৯৫৮/ ১৯৭৩/১৯৮৪ সালের জাতির জনকের, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মানীত মন্ত্রী / এমপি মহেদয়দের তাদের পক্ষের বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। মোট কথা, একজন নকল নবিশ বা এক্মটা মোহরার একটি দলিল সম্পাদনের এতটাই গুরুত্ববহন করেন তা ৯০% মানুষের অজানা। বিষয়টি হলো, ,নতুন
একটি দলিল সম্পাদন করার পর, তার আইনিজটিলতা কাটেনা যতোক্ষন না, পর্যন্ত একজন এক্মটা মোহরার ঐ দলিলটি সরকারি বালামে লিখে লিপিবদ্ধ না করেন। এক কথায় বলা যায়,একজন নকল নবিশ বা এক্মটা মোহরার হলো, একটি দলিলের কলিজা বা কলমে লেখা দলিলের প্রান।