বাঙালির মুক্তির সনদ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা। এর মাধ্যমেই স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাঙালির স্বাধীনতা, স্বাধিকার ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম মাইলফলক ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) আয়োজিত ‘ছয় দফা বাঙালি জাতির ম্যাগনা কার্টা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য, লেখক, গবেষক অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বাশিপ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
ড. মশিউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে যেসব আন্দোলন বাঙালির মনে স্বাধীনতার চেতনা ও স্পৃহাকে ক্রমাগত জাগিয়ে তুলেছিল, ছয় দফা আন্দোলন তারই ধারাবাহিকতার ফসল। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনে বাঙালির অবিস্মরণীয় বিজয়, একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চের গণহত্যা এবং ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পথ ধরে দেশ স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যায়।
ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ছয় দফা বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার সনদ। ১৯৫২ সাল বা তার আগে থেকে চলমান আন্দোলন ধীরে ধীরে স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরি করার আন্দোলনে রূপ দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে সুসংগঠিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের দাবিকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে গেছেন। ছয় দফা বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে প্রবল উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফার মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের জন্মের মূলে রয়েছে ছয় দফা।’ অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। পাঠ্য পুস্তকে ছয় দফা আরো গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।