বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বৃষ্টির সময় ঘরে আশ্রয় নিয়ে গৃহকর্তার কলেজপড়–য়া মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠেছে এক স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে আটকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পশ্চিম রাজিহার এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত স্বাস্থ্য সহকারী আরিফ মোল্লা উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বসুন্ডা গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় আরিফ মোল্লাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, শ্লীলতাহানির শিকার ওই ছাত্রীর বক্তব্য শুনে থানা পুলিশকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী মো. আরিফ মোল্লা মঙ্গলবার সকালে শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস খাওয়ানোর জন্য পশ্চিম রাজিহার কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি নামলে পশ্চিম রাজিহার রাস্তার পাশে একটি ঘরে দৌড়ে আশ্রয় নেন তিনি। এ সময় গৃহকর্তার কলেজপড়–য়া মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে তার শ্লীলতাহানি ঘটান।
ওই কলেজছাত্রীর ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আরিফকে মারধর করে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ আরিফ মোল্লাকে উদ্ধার ও শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রী ও তার মা-বাবাকে থানায় নিয়ে আসে। ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, থানায় বসে শ্লীলতাহানির শিকার ওই ছাত্রীর বক্তব্য শোনেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন (প্রশাসন)। এ সময় তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার চার্জশিট দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অভিযুক্ত আরিফ মোল্লাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএএফপিও) ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানোর পর ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ২ জুন বিকাল ৫টার দিকে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গর্জনতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত সোমবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়েরের পর বিষয়টি জানাজানি হয়। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গর্জনতলী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. ইউনুছ ও ফখরুল ইসলামের মেয়ে রোকসানা আক্তার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গর্জনতলীর ফখরুল ইসলামের মেয়ে রোকসানা আক্তার তার বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত দিয়ে ওই শিশুটিকে নিয়ে যায়। পরে দুপুরে ভাত খাওয়ার পর পানির সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে ওই শিশু। এ সময় পূর্ব থেকে ওই ঘরে থাকা একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. ইউনুছ তাকে ধর্ষণ করে। দীর্ঘ সময় জ্ঞান না ফেরায় ওই শিশুকে নিজ বাড়িতে দিয়ে আসে রোকসানা ও ইউনুছ। পরবর্তীতে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্র্তি করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে নেওয়া হয়।