করোনার এমন দুর্যোগময় মুহূর্তে কৃষি অর্থনীতি সচল রাখতে কৃষকরা মানুষরুপি রোবট হয়ে বোরো ধান গোলায় তুলতে না তুলতে ভুট্রা কাটা মাড়াই শেষ করে সেই জমিতে গেল ২০দিন আগে রোপনকৃত আউশ ধান পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,এবার ৩৬০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পানির সেচ দেয়ার তেমন একটা দরকার হয় না বলে আউশ আবাদে উৎপাদন খরচ কম। সেই সাথে কীটনাশক ও সার প্রয়োগ অন্যান্য ধান থেকে ৪০ থেকে ৫০ভাগ কম হওয়ায় আউশ উৎপাদনে কৃষকের উৎসাহ-উদ্দীপনা আরো বেড়ে গেছে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র-প্রান্তিক, বর্গা চাষীগণ জমি প্র¯ুÍত, বীজ তলা থেকে চারা উত্তোলন, রোপণ, পরিচর্যায় মেতে উঠেছেন।
পুটিমারী ইউপি’র চন্ডীর বাজার গ্রামের কৃষক আতাউল্লাহ মুন্সি,উঃ দুড়াকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের বর্গাচাষী জাহেদুল,জেনারুলসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, ইরি-বোরো ধানে ভাল দাম পেয়ে আউশেও ভাল ফলন,ন্যায্য বাজার মূল্য পাওয়ার স্বপ্নে অধিক জমিতে আউশ ধান রোপন করে দিনরাত নিরলসভাবে ঘামঝড়া পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তারা আরও জানান, খরচ সাশ্রয়ী আউশ ধান এখন এ জনপদের মানুষের মঙ্গা তাড়ানিতে মূখ্য ভ’মিকা পালন করায় কৃষকের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। এক ফসলের জমির সার প্রয়োগে আলু, ভ’ট্রা, আউশসহ তিন ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, বøক পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে আউশ আবাদে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি রোগ বালাই, চাষাবাদে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, খাদ্য ঘাটতি মেটাতে কৃষকরা দিনরাত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাম্পার ফলনে ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হবেন।