ঘরের মাঠ আমস্টারডামে বৃহস্পতিবার রাতে অস্ট্রিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর পর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আবারও নকআউটে নাম লেখাল নেদারল্যান্ডস। সর্বশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নকআউটপর্বে উঠেছিল ২০০৮ সালে। গ্রুপপর্বে টানা দুই জয়ে ইউরোতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠল কমলা জার্সিধারীরা।
‘সি’ গ্রুপের যে ম্যাচটিতে ভুরিভুরি সুযোগ নষ্ট না করলে আরও বড় জয় পেতে পারতো তারা। গোল করার মতো কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পেরেছে তার মাত্র দুটি। নেদারল্যান্ডসের ১৪ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল।বিপরীতে পুরো ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের গোল মুখে অস্ট্রিয়া শট নিতে পেরেছে মাত্র একটি।
ম্যাচের ১১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের প্রথম গোলটি করেন মেম্ফিস ডিপাই। ডি-বক্সে ডামফ্রিসকে অস্ট্রিয়ার ডাভিড আলাবা ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ৬৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন রাইট উইংব্যাক ডেনজেল ডুমফ্রিস।
প্রথমার্ধের ২৪তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান থাকা ডিপাই। ডি-বক্সে ঢুকে লিঁওর এই ফরোয়ার্ডের নেয়া শট নেন জালের বাইরে। ৪০তম মিনিটে প্রথমার্ধের সবচেয়ে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ডিপাই। গোলরক্ষকের খুব কাছে বল পেয়েও ওপরে মারেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে আক্রমণ করে খেলতে থাকে নেদারল্যান্ডস। ৬৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিস। দিপাইয়ের ফ্লিক মাঝমাঠ থেকে ফাঁকা পেয়ে দৌড়ে যান ড্যামিয়েন মালেন। গোলরক্ষকের সামনে গিয়েও নিজে শট নেননি, স্বার্থ ভুলে ডানদিকে পাস দেন ডামফ্রেসকে। কাছ থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি।
দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস। ইউক্রেন ও অস্ট্রিয়ার পয়েন্ট সমান ৩ করে, দুইয়ে আছে ইউক্রেন। নর্থ মেসিডোনিয়া ম্যাচ জিততে পারেনি একটিও।
সোমবার শেষ ম্যাচে নর্থ মেসিডোনিয়ার মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস। একই সময়ে ইউক্রেনের বিপক্ষে খেলবে অস্ট্রিয়া।