সম্প্রতি আফগানিস্তানে তালেবানদের হামলা বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো এখান থেকে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করার পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ডন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে উদ্বৃত করে বলেছে, ‘আমি তাদের সুপ্রসন্ন ভাগ্য কামনা করছি। কিন্তু, আগে এটি তৈরি করতে হবে। যদি ওয়াশিংটনে যাওয়ার উদ্দেশ্য হয় নতুন একটি দোষের খেলা শুরু করা এবং ঘটে যাওয়া সব দূর্ঘটনার (আফগানিস্তান) এবং (শান্তি প্রক্রিয়া) ধীর হওয়ার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হয় তাহলে কোনো লাভই হবে না।’
ইসলামাবাদে আয়োজিত পাক-আফগান বাইলেটারাল ডায়ালগে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানের শান্তি রক্ষা সবার যৌথ দায়িত্ব এবং পরিস্থিতি নাজুক হলে পাকিস্তানকে এজন্য দায়ী করা হলে আমরা তার দায় গ্রহণ করবো না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সফল পরিণতির জন্য আলোচনা করতে সক্ষম এমন নের্তৃত্ব প্রয়োজন আফগানিস্তানের। দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিতে হবে এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই আফগানিস্তানের।’
তালেবানদের সঙ্গে পাকিস্তানের মজবুত সম্পর্ক থাকার বিষয়টি সঠিক নয় উল্লেখ করে কোরেশি বলেছেন, আফগানিস্তানে তাদের প্রিয় কিছু নেই। একটি সাধারণ গুঞ্জন রয়েছে যে আমরা তালেবানদের সমর্থক। কিন্তু আমি তা নই এবং আমি তাদের প্রতিনিধিত্ব করি না, আমি পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করি। তালেবানরা মূলত আফগান। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দোষারোপের খেলায় কোনো অর্জন আসবে উল্লেখ করে তিনি এসব কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বলে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দেওয়া বিবৃতির প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে আফগান ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর (এনএসএ) হামদুল্লাহ মুহিব পাকিস্তানকে ‘পতিতাদের ঘর’ বলে উল্লেখ করেন। তার এ মন্তব্যে ব্যাপক কূটনৈতিক ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়। আফগান এনএসএ’র এই আক্রমনাত্বক মন্তব্যে পাকিস্তানও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তার সঙ্গে সমস্ত সরকারি সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।