জানা যায়, উপজেলার ছিটুয়া নোয়াপাড়া গ্রামের আউয়াল খান ও লালু খান সহোদর দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্ধ বিরাজমান ছিলো। এর জের ধরে গত ৮ জুন মঙ্গলবার দুপুরে কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালীন চাচা লালু খানের পক্ষের লোকজনের দায়ে কোপে আব্দুল আউয়ালে ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল গুরতর আহত এবং উভয়পক্ষের আরো ৬-৭ জন আহত হন। সজলকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান সাখাওয়াত হোসেন সজল। ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে সজলের মৃতদেহ বাড়িতে আসে। আজ (শুক্রবার) সকাল ১১টার দিকে জানাজা শেষে লাশ দাফনের পরপরই প্রতিপক্ষের লোকজন নিহতের চাচা লালু খানের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় লালু খানের বসত ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং এক পর্যায়ে লালু খানের রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষের লোকজন চলে যায়।
এব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। আর ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে এ বিষয়েও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।