২ জুলাই শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি পরলোক গমন করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি একজন বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ও বড়াল নদ রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক ছিলেন। জীবদ্দশায় স্থানীয় অনেক পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন তিনি। তিনি একজন লেখকও ছিলেন। কবিতা, গল্প, সাহিত্য বিভিন্ন লেখা তার প্রকাশিত হয়েছে। অঞ্জন ভট্টাচার্য্য উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের মৃত রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্যরে ছেলে এবং সবার প্রিয় মুখ ছিলেন।
শুক্রবার অঞ্জন ভট্টাচার্য নিজ বাড়ি থেকে অটোভ্যানে নতুন বাজারে তার হোমিও চেম্বারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে জারদিস মোড়ে অটোভ্যান থেকে নেমে পায়ে হেঁটে তার চেম্বারের দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় চাটমোহর সরকারি আর.সি.এন এন্ড বি.এস.এন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌছিলে হঠাৎ তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পরেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে চাটমোহরে কর্মরত সংবাদকর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ রকিবুর রহমান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত সাহা কিংশুক জানান, তার মৃত্যুতে চাটমোহর প্রেসক্লাব সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কালোব্যাজ ধারণ, মন্দির মসজিদে প্রাার্থনাসহ তিন দিনের শোক কর্মসূচী পালন করবে।