টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
ইকুয়েডরকে উড়িয়ে সেমিতে আর্জেন্টিনা

ইকুয়েডরকে উড়িয়ে সেমিতে আর্জেন্টিনা

কোপা আমেরিকার চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময় শেষে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসিরা। তিনটি গোলেই ছিল মেসির অবদান। প্রথম দুটি গোল সতীর্থকে একদম পাতে তুলে দিয়েছেন। পরের গোলটি করেছেন দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক থেকে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া।

রোববার বাংলাদেশ সময় সকালে স্তাদিও অলিম্পিকো পেদ্রো লুদোভিকোতে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর।

আক্রমণাত্মক শুরু করা আর্জেন্টিনা ম্যাচের ১৩তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। মাঝমাঠ থেকে আরবোলেদার ক্রসে লাওতারো মার্তিনেস বল পেয়ে গোলরক্ষককে ছাপিয়ে ডানপ্রান্ত দিয়ে পোস্টের একেবারে কাছে গিয়ে শট করেন। তবে ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডার হেড করে সেভ করেন। দুই মিনিট পরেই মেসির নেওয়া কর্নার থেকে পেজ্জেল্লা শট নিলেও জালের খুব কাছে দিয়ে বেরিয়ে যায়।

২১তম মিনিটে লিড নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডর ফুটবলারের ভুলে আর্জেন্টাইন তারকা বল পেয়ে শট নিলেও তা পোস্টে বাধা পড়ে। অবশ্য দুই মিনিট পরেই অল্পের জন্য গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।

অবশেষে ৩৯তম মিনিটে এক দলীয় আক্রমণ থেকে গোলের দেখা পায় আলবিসেলেস্তারা। বাঁ প্রান্ত থেকে মেসির ক্রসে জাল ফাঁকা পেয়ে গোল করেন রদ্রিগো দে পল। বিরতির ঠিক আগে অবশ্য গোল বঞ্চিত হয় ইকুয়েডর।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইকুয়েডরের কর্নার কিক থেকে মার্তিনেস আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন। আর ৬৫তম মিনিটে তো মারাত্মক এক ক্রস থেকে আত্মঘাতী গোল খেতে বসেছিলেন মেসিরা। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইকুয়েডর চার মিনিট পর আরো একটি আক্রমণ চালায়। তবে এনার ভ্যালেন্সিয়ার শট জালের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়।

খেলার শেষদিকে ইকুয়েডর ডিফেন্ডারের মারাত্মক ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় আর্জেন্টিনার। ৮৪তম গোলরক্ষকের কাছ থেকে বল পেয়ে আনহেল দি মারিয়া পিয়েরো হিনকাপেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। আলগা বলে মেসির চমৎকার পাসে জাল খুঁজে নেন মার্তিনেস।

নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ে ১০জনের দলে পরিণত হয় ইকুয়েডর। আনহেল দি মারিয়াকে ফাউল করায় দলটির ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপিয়েকে রেফারি লাল কার্ড দেখান। সেখান থেকে রেফারি আর্জেন্টিনাকে প্রথমে পেনাল্টির পুরস্কার দিলেও পরে ভিএআর দেখে ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান। তবে মেসির শক্তিশালী শট ইকুয়েডর গোলরক্ষকের পক্ষে সেভ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital