পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্বপ্না খাতুন (২৪) নামের এক কলেজ ছাত্রী প্রেমিক আব্দুল আলীম ওরোফে মামুন এর বাড়িতে গত ২ দিন যাবৎ বিয়ের দাবী নিয়ে অনশন করছে। প্রেমিক আব্দুল আলীম বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
আব্দুল আলীম ওরোফে মামুন ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মেন্দা আদর্শ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। আব্দুল আলীম মামুন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)তে কর্মরত। তবে সে তার প্রেমিকাকে অস্বীকার করায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক পলাতক রয়েছে। তবে পুলিশ বলছেন, স্বপ্না খাতুনকে সংশ্লিষ্ঠ বাহিনীতে অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।
জানা গেছে, স্বপ্না খাতুন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ইতিহাস বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি চাটমোহর উপজেলার সমাজ গ্রামে। আব্দুল আলীম ওরোফে মামুন ও স্বপ্না খাতুন একে অপরের খালাতো ভাইবোন। সেই সূত্র ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গত ২০১৫ ইং সাল থেকে তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই সম্পর্ক থেকে তাদের মধ্যে বিগত ৬ বছরের অনেক বার অন্তরঙ্গ পরিবেশে মিলিত হয়েছে মর্মে দাবী করেছেন প্রেমিকা স্বপ্না খাতুন। কিন্তু সম্প্রতি প্রেমিকা স্বপ্না খাতুন বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিজিবি সদস্য আব্দুল আলীম ওরোফে মামুন কৌশলে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন।
এদিকে আব্দুল আলীম ওরোফে মামুন গত ৩০ জুন ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন। সেই খবর পেয়ে প্রেমিকা স্বপ্না খাতুন গত ৩ জুলাই সকালে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবী নিয়ে হাজির হন। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক পলাতক রয়েছে।
তাদের প্রেমের বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে কুমড়া ডাঙ্গার বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে গভীর রাত পযর্ন্ত আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে ওই কলেজ ছাত্রীকে আব্দুল আলীম ওরাফে মামুন বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
কলেজ ছাত্রীর বড় বোন মুক্তা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন প্রেমের অভিনয় করে এখন বিয়ে না করে পালিয়ে রয়েছে। আমার বোন যদি আত্মহত্যা করে তার জন্য কে দায়ী হবে?
প্রেমিক স্বপ্না খাতুন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্ক করে আর এখন অস্বীকার করছে। তার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
আপোষ মীমাংসার জন্য সালিশী বৈঠক করার বিষয়ে স্বীকার করে কুমড়াডাঙ্গার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে চেষ্টা চলছে। বিষয়টির মীংমাসা হবে বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ঠ বাহিনীতে অভিযোগ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।