সকালে তাদের ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ভোর রাতে সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- সাভারের বনপুকুর এলাকার মহিদুলের ছেলে আসিফ (১৬) ও কোটপাড়ার মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের ছেলে খোরশেদ (১৪)।
এর আগে একই মামলার অপর ৮ আসামি ঘোড়াদিয়া মল্লিকেরটেক এলাকার ঝন্টু মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৯), ব্যাংক কলোনি এলাকার আইয়ুবের ছেলে দুদুল (২২), ৪ নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়ার রাকিবুল ইসলাম রকি (২০), বেদে পল্লি পোড়াবাড়ি এলাকার আতিকুর রহমানের ছেলে আসিফ (১৮), আব্দুলের ছেলে ডানু (২৭), পারভেজ, জোবায়ের ও সাহানুর রহমান চাদ। এদের মধ্যে জোবায়ের নামের আসামি জামিনে বাইরে রয়েছে।
নিহত রোহান (১৭) পৌর এলাকার কর্ণপাড়া মহল্লার মো. আব্দুস সোবাহানের ছেলে এবং স্থানীয় রোদেলা মডেল স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের বাবা আব্দুস সোবাহান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে, মেয়ে ঘটিত বিরোধের জেরে আমার ছেলেকে হত্যা করে তারা। আমার ছেলের ফোনের মেসেঞ্জারে এক মেয়ের সাথে কথোপকথনের কিছু তথ্য আমাদের সংরক্ষণে রয়েছে। ওই মেয়ে আমার ছেলে ও আসামি হৃদয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মেয়ে আমার ছেলেকে মেসেঞ্জারে লিখেছিল হৃদয়কে মেরে ভিডিও তার মেসেঞ্জারে পাঠাতে। ওই মেয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছিল।
পুলিশ জানায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে রোহান, সুফিয়ান ও যুবায়ের ব্যাংক কলোনি এলাকার ‘মুড়ি মটকা’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। এসময় পূর্ব শক্রতার জেরে টিকটক হৃদয়ের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি কিশোর গ্রুপ রোহানের ওপর হামলা করে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রোহান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তাহমৃদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আরও জানান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহারকৃত সুইচ গিয়ারটি উদ্ধার করা হয় আসামি খোরশেদ এর কাছ থেকে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।