টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
রাজধানীতে ইয়াবার হোম ডেলিভারি টিকটক হৃদয়ের সহযোগী অনিকসহ গ্রেপ্তার ৫

রাজধানীতে ইয়াবার হোম ডেলিভারি টিকটক হৃদয়ের সহযোগী অনিকসহ গ্রেপ্তার ৫

ভারতে নারী পাচারের হোতা আলোচিত টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী মগবাজার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকসহ তার গ্রুপের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। অনিক ও তার সহযোগীরা রাজধানীর হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা তরুণ-তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় মাদক সিন্ডিকেটও নিয়ন্ত্রণ করত। সম্প্রতি লকডাউনের মধ্যে ইয়াবার হোম ডেলিভারি চালু করেছিল চক্রটি। গত রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিরঝিল এলাকা থেকে হিরো অনিকসহ তার চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র, ৩০০ পিস ইয়াবা, সাতটি মোবাইল ফোন ও ৩ হাজার ৪০০ টাকা।

অনিক ছাড়াও অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শহিদুল ইসলাম ওরফে অ্যাম্পুল, আবির আহমেদ রাকিব, সোহাগ হোসেন আরিফ ও হীরা। গতকাল সোমবার বিকালে কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, অনিক মগবাজার হাতিরঝিল ও আশপাশের এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা। তার সহযোগীদের কারও কোনো পেশা নেই। তারা অনিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাত। শহিদুল ওরফে অ্যাম্পুলের নামে মাদক ও চুরির ছয়টি মামলা, আবিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা, সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু অপহরণ, মাদক ও ডাকাতির তিনটি মামলা এবং অনিকের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ও চুরির ৯টি মামলা রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সংঘবদ্ধ এই দল মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন বাজার পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সিন্ডিকেট এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছিল। হিরো অনিক একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে এবং ছাড়াও পেয়েছে। সম্প্রতি লকডাউনে হাতিরঝিল এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল তারা। এ ছাড়া লকডাউনে মানুষ চলাচল কম হওয়ায় যারা ঘুরতে যেত হাতিরঝিলে তাদেরও টার্গেট করা হতো। অনিক স্বীকার করেছে, লকডাউন চলাকালে তারা বাসায় বাসায় মাদক সাপ্লাই করত।

খন্দকার আল মঈন বলেন, অনিক টিকটক হৃদয়কে তার টিকটক গ্রুপের নেশা ও আড্ডার জন্য মাদক সরবরাহ করত। সে মাদক সিন্ডিকেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে মাদক চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। এ সিন্ডিকেটের অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital