রোববার আল জাজিরার খবরে বলা হয়, শনিবার (৩ জুলাই) তালেবান যোদ্ধারা সীমান্তের দিকে অগ্রসর হলে শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আফগানিস্তানের বদখশান প্রদেশের তিন শতাধিক সেনাসদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে তাজিকিস্তানে প্রবেশ করেছে। মানবতা এবং সুপ্রতিবেশীর নীতির আলোকে তাদের প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর স্পেশাল অপারেশন বিভাগের কমান্ডার মেজর জেনারেল হিবাতুল্লাহ আলিযাই বলেন, তাদের এখন মূল লক্ষ্য তালেবানকে চেপে ধরা।
তিনি জানান, আফগানিস্তানের বড় বড় শহর, মহাসড়ক এবং সীমান্ত শহর এলাকার দখল ঠেকাতে তারা শক্তিশালী বলয় তৈরি করেছেন। আগ্রাসনের ২০ বছরের মাথায় আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে আগ্রাসন শুরু হলেও সহিংসতা বেড়েই চলছে দেশটিতে। গ্রামের পর গ্রাম দখলে নিচ্ছে তালেবান- এমন খবর প্রতিদিনই আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
তালেবান খুব দ্রুত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নিতে পারে- এমন খবরও শোনা যাচ্ছে।
প্রায় দুই দশকের আফগানিস্তান যুদ্ধ শেষের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনারা ইতোমধ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় বাগরাম বিমানঘাঁটি ত্যাগ করেছে।
বিদেশি সেনাদের চলে যাওয়ার খবরে আশান্বিত তালেবান আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। তারা ইতোমধ্যে ৪২১টি জেলার মধ্যে ১৪০টি জেলা দখল করে নিয়েছেন।