স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সংগঠনের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীও গাড়ি থেকে নামেননি।
সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসা থেকে বের হয়। এর আগে রাত ৮টা ৩৭ মিনিটের দিকে বাবুনগরী মন্ত্রীর বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময়ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসায় আসার কারণ জানতে চাইলেও সব বিষয়ে চুপ ছিলেন তারা।
হেফাজতে সূত্রে জানা গেছে, হেফাজতে ইসলামের কারাবন্দি নেতাদের ঈদুল আজহার আগে মুক্তি চাইতে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাবুনগরীর একজন খাদেম জানান , সোমবার সকালে চিকিৎসার জন্য কঠোর লকডাউনের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিলেন তারা। তবে ঢাকায় আসার মূল উদ্দেশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা।
এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন বলেন, তারা ঢাকায় এসেছেন, এর জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
হেফাজত সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে হেফাজতের উত্তপ্ত কাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় অন্তত অর্ধশতাধিকের বেশি শীর্ষ নেতা কারাগারে বন্দি। প্রায় তিন মাস হলেও বন্দি নেতাদের এখনো মুক্তি মেলেনি।
এর আগে বিভিন্ন সময় তিন দফা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেও কারাবন্দি নেতাদের কারামুক্ত করতে পারেননি হেফাজতের বর্তমান শীর্ষ নেতারা।