বুধবার বেলা ১১টায় অপহৃতা ওই কিশোরীকে আদমদীঘি থানায় আনা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নশরতপুর বহুমুখি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও খারিয়াকান্দি গ্রামের আখতারুজ্জামান ফিরোজের কিশোরী মেয়ে স্কুলে যাতায়াতের সময় ধনতলা গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে জনি তার পথরোধ করে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয়াসহ উত্যক্ত করে আসছিলো। বিষয়টি ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজন রনির পরিবারকে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়।
এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হলে রনি ও তার সহযোগীরা কিশোরীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহৃতা কিশোরীরর বাবা আখতারুজ্জামান ফিরোজ বাদী হয়ে পাঁচ দিন পর রনিসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কমকর্তা ও আদমদীঘি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকিব হোসেন জানান, পতেঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, মামলার ৫ মাস পর চট্রগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বুধবার বেলা ১১টার দিকে থানায় আনা হয়েছে। তবে আসামিরা আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।