নাহিদুজ্জামান ইমন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিঃ পদার্থবিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন তিনি। ক্যাডেট ইমন পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের ২ নং ওয়ার্ড ছোটশালিখা মহল্লার মোক্তার হোসেন ও নার্গিস আক্তার দম্পতির বড় ছেলে।
জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিঃ পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য প্রতি বছর আই.এ.এ.সি (ইন্টারন্যাশনাল এ্যাস্ট্রোনমি এন্ড এ্যাস্ট্রোফিজিক্স কমিটি) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনলাইনে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিঃ পদার্থবিজ্ঞান প্রতিযোগিতার খবর পেয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ইমন। ৩০ এপ্রিল প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। এটিতে টিকে যান ইমন। গত জুন মাসের ৬ তারিখে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় রাউন্ডেও জিতে যান ইমন। সর্বশেষ ২৯ জুন ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয় গত ৫ জুলাই। এ পর্বে তিনি বোঞ্জ পদক জিতেন।
ইমনের বাবা মোকতার হোসেন স্থানীয় উত্তর সেনগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানের অভিজ্ঞ বিএসসি শিক্ষক। বাবা যখন বাড়িতে ছাত্রদের গতি, স্থির তড়িৎ, কাজ ক্ষমতা শক্তি, আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান পড়াতেন তার ছেলে ইমন অনেক সময়ই পাশে দাড়িয়ে শুনতেন, দেখতেন। বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ থাকায় ছোট বেলা থেকেই তার অনুসন্ধিৎসু মন বাবাকে অনেক প্রশ্ন করতে শেখায়। ধীরে ধীরে বড় হয় ইমন। ২০১৬ সালে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তির সূযোগ পায় সে।
ইমন জানান, সারা বিশ্বের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য অনলাইন প্রতিযোগিতা ছিল এটি। এ বছর ৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। এমন একটি প্রতিযোগিতায় জেতা অবশ্যই ভাল লাগার একটি বিষয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটি আমার প্রথম অর্জন। এর আগে আমি ম্যাথ অলিম্পিয়াড ও জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে জাতীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহণ করেছি। আমার এ অর্জনে পরিবার ও শিক্ষক শিক্ষিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ইমনের বাবা মোকতার হোসেন জানান, ছাত্র থাকাবস্থায় জুনিয়রদের গণিত বিজ্ঞান পড়াতাম। শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত হওয়ার পর গত ২১ বছর যাবত ছাত্রদের গণিত বিজ্ঞান পড়িয়ে আসছি। ইমন মাঝে মধ্যেই রাত্রি বেলা চাঁদ, তারা, নক্ষত্র প্রভৃতির গতি বিধি লক্ষ্য করতে ছাদে যায়। আগামিতে রোবট অলিস্পিয়াডে অংশ গ্রহণ করার ইচ্ছা রয়েছে ওর। ইমন যেন ভবিষ্যতে আরো ভাল করতে পারে এজন্য তিনি সকলের দোয়া প্রার্থনা করেছেন।