বর্ষায় মৌসুম এলেও জমে উঠেনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটায় শত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট।
আষাঢ়ের প্রথম দিকে থই থই পানি থাকার কথা থাকলেও আষাঢ়ের শেষের দিকেও তুলনা মুলক পানি কম অপর দিকে লকডাউনের কারনে এ বছর হাটে নেই ক্রেতা ও সাধারন জনগন। এজন্য বাড়েনি নৌকা বিক্রি। এ কারনেই বিপাকে পড়েছেন নৌকা তৈরির কারিগর (কাঠমিস্ত্রী) ও ব্যবসায়ীরা।
নাগরপুর উপজেলার এক পাশে যমুনা অপর পাশে ধলেশ্বরী সহ বয়ে গেছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদী। আর এ কারণে বর্ষার শুরু থেকেই নিচুঅঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর এক মাত্র ভরষা নৌকা। পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার চোহালী, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন চরাঞ্চল হওয়ায় এসব নিচুঅঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ সাধ্যের মধ্যে নৌকা কিনতে এ হাটে ছুটে আসতো। আর এসব নিচু অঞ্চলের মানুষের একমাত্র যাতায়াতের যানবাহন নৌকা।
কয়েকটি নদীতে পানি বাড়ায় ধীরে ধীরে ছোট নদীগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাগরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট শুধু নামেই বিখ্যাত নয়। এখানে সাধ্যের মধ্যে সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য রয়েছে নানা ধরনের নৌকা। উপজেলার গয়হাটা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ মাঠে নৌকার হাট লাগলেও করোনার প্রভাবে তেমন জমে উঠেনি।
খাষ পুকুরিয়ার হাসেম বলেন, বর্ষার সময় নৌকা ছাড়া আমাদের চলা ফেরা করার কোনো উপায় নেই। আর সে জন্যই প্রতি এক বা দুই বছর পর পর এ হাট থেকে নৌকা কিনি। লকডাউনের কারনে এখনো পুরো দমে নৌকার বেচাকেনা শুরু না হওয়ায় ব্যপারিরা তাদের ইচ্ছে মতো নৌকার দাম চাচ্ছেন।
নৌকা তৈরির কারখানার মালিক মো. শাহাদত বলেন, লকডাউনের জন্য সব জিনিসের দাম বেশি সেই সাথে ঠিক মত পাওয়া যায় না মিস্ত্রী। এ বছর কিছুটা খরচ বেশি হচ্ছে নৌকা তৈরি করতে। এখনো পানি তেমন একটা না হওয়ায় হাটে ক্রেতা আসছে না।
নৌকা ব্যবসায়ী হিরা লাল বলেন, আমি পঞ্চাশ বছর ধরে নৌকার ব্যবসা করি। এবার পানি না হওয়ায় ব্যবসা খুবই মন্দা।