এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত অভিভাবকগন ও এলাকাবাসী শনিবার (১০ জুলাই) কলেজ প্রাঙ্গনে গিয়ে অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কলেজটির বিলুপ্ত কমিটির সদস্য সোলেমান হোসেন, ছাইকোলা গ্রামের গোলজার হোসেন, সেতার হোসেনসহ এলাকাবাসী জানান, গত ৯ জুলাই ছাইকোলা ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। নিয়মানুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পূর্ব থেকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। খসরা ভোটার তালিকা তৈরী, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, তফশীল ঘোষণা করতে হয়। মনোনয়ন পত্র উত্তোলন, জমাদান, বাছাই শেষে অভিভাবক সদস্য প্রার্থীরা ভোট করেন। এ লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসার ও নিয়োগ করা হয়। একই প্রক্রিয়া মেনে শিক্ষক প্রতিনিধি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম এসব প্রক্রিয়া না মেনে গোপনে তার পছন্দের লোকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে অনুমোদন করিয়ে আনেন। কোন ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক বা শিক্ষকরাও ভোটের বিষয়ে জানেন না। অধ্যক্ষ সম্পূর্ণ অনিয়ম করে এ কমিটি গঠন করেছে। গোপনে কমিটি গঠন করার এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে অভিভাবকরা এবং এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং এ কমিটি বাতিলের দাবী জানান। বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি সাইমুর রহমান পাভেল, হাসিনুর রহমান উজ্জ্বলসহ অন্যান্য শিক্ষক জানান, নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম জানান, নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনে ভোট করার কোন প্রয়োজন পরে নি। আমি যথা রীতি নিয়ম মেনে কমিটি গঠন করেছি। কোন প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী না থাকায় অভিভাবক সদস্য পদে রমিজ উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম ও বাবলুর রহমান বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন। শিক্ষক প্রতিনিধি পদেও কোন প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী না থাকায় এস.এম মিজানুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও জীবন নেসা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন। আবু তায়েব মিয়া দাতা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক সভাপতি আব্বাস আলী মাষ্টারকে সভাপতি করে সম্প্রতি নতুন কমিটি গঠন করেছি।
কলেজটির সভাপতি আব্বাস আলী মাষ্টার জানান, নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে তফশীল ঘোষণা হয়েছে কিনা, নির্বাচন হয়েছে কিনা, নতুন কমিটি পাস হয়েছে কিনা কিছুই আমার জানা নাই। সব অধ্যক্ষ জানে। কিছু কাগজ পত্রে অধ্যক্ষ আমার স্বাক্ষর নিয়ে গেছে। নতুন কমিটি সম্পর্কে দাতা সদস্য আবু তায়েব মিয়াও কিছু জানেন না বলে জানান।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা জানান, নিয়ম না মেনে, ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক সদস্য, শিক্ষকদের না জানিয়ে কমিটি গঠনের কোন সূযোগ নাই। এমনটি হয়ে থাকলে এবং এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।