টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শনিবার রাতে দুই বাড়ীতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনাা ঘটেছে। উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হাজী মো. বেলায়েত হোসেন এর বড় ছেলে ও বড় মেয়ের বাড়ীতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মনে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে দুই বাড়ীর লোক জনের ডাকাডাকি ও চিৎকারে আমরা ছুটে আসি। এসে দেখি ঘরের টিন কেটে দরজা খুলে সব দামী জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। ষ্ট্রীলের খালি ড্রয়ার ও কয়েকটি ব্যাগ দুয়ারের মধ্যে পড়ে আছে। হাজী মো. বেলায়েত হোসেন এলাকার একজন প্রভাবশালী লোক। তার বাড়ীতে এমন চুরি হওয়ার কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
হাজীর বড় ছেলের বউ বলেন, সকালের খাবার খাওয়ার পর হতেই বাড়ীর সকলের শরির খারাপ হতে থাকে। আমার মাথা ঘুরতে থাকে। রাতে বাড়ীর সবাই এক অদৃশ্য ইশারায় ঘুমিয়ে পরি। রাতে প্রায় ৩টার দিকে ঘুম ভাঙ্গলে আমার ঘরের দরজা খোলা দেখে সবাইকে ডেকে তুলি। বাহিরে এসে দেখি উঠানে জামা কাপড় ও আলমারীর ড্রয়ার, লেদারের ব্যাগ পরে আছে। ঘরে টিন কেটে দরজা খুলে আমার নগদ টাকা ও স্বর্না অলংকারসহ প্রায় ছয় লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
হাজীর বড় মেয়ের জামাতা শরৎ বলেন, ওই রাতে রুটি খাওয়ার পরেই কেমন যেন দু’চোখ ভেঙ্গে ঘুম আসে, পরে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পরি। মধ্যে রাতে আমার ঘুম ভাঙ্গলে ঘরের দরজা খোলা দেখে বাড়ীর লোকজনকে ডাকাডাকি করি। বাহিরে এসে দেখি বাড়ীর উঠানে ড্রয়ার ও জামা কাপড় পড়ে আছে। আমার নগদ টাকা ও স্বর্না অলংকারসহ প্রায় সারে ৪ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে।
এ ব্যপারে হাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, আমার ধারনা খাবারের সাথে কিছু মিশিয়ে তাদেরকে অচেতন করে ঘরের টিন কেটে চুরি করে। আমি এ ব্যাপারে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।