মূল অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার তিনদিন আগেই ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে শুরু হয়েছে পুস্করার বিতরণ। আর এটি শুরু হয়েছে শিক্ষার্থী নির্মাতাদের বিভাগ সিনেফঁদাসোতে’র মাধ্যমে। এই বিভাগে এবার সেটা হয়েছে বেলজিয়ামের তিও দিগেন পরিচালিত ‘দ্য সালামান্দার চাইল্ড’ ছবির মাধ্যমে। তিনি বেলজিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড ড্রামা স্কুল আইএনএসএএস-এর ছাত্র। তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি আগামীতে কান উৎসবে স্থান করে নেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। একইসাথে পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ইউরো (১৫ লাখ টাকা)।
‘দ্য সালামান্দার চাইল্ড’ ছবির ব্যাপ্তি ২৬ মিনিট। এর গল্প ১৫ বছর বয়সী ফ্লোরিয়ানকে কেন্দ্র করে। ছেলেটা ভাবে আগুনের মাধ্যমে মৃতদেহের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে সে। এমন বিশ্বাসের কারণে গ্রামে তাকে বিদঘুটে ভাবা হয়। একদিন তাকে দানব বলে ডাকতেই সে তা হয়ে যায়!
সিনেফঁদাসোর এবারের আয়োজনে যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে রোমানিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম আই.এল. কারাজিয়ালের ছাত্রী কারিনা-গ্যাব্রিয়েলা দাসোভেনু পরিচালিত ‘লাভ স্টোরিস অন দ্য মুভ’ এবং ব্রাজিলের আকাদেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল দ্যু সিনেমার শিক্ষার্থী রদ্রিগো রিবেইরো পরিচালিত ‘কান্তারেইরা’। পুরস্কার হিসেবে তারা ভাগাভাগি করেছেন সাড়ে সাত হাজার ইউরো (সাড়ে ৭ লাখ টাকা)।
তৃতীয় হওয়া ‘লাভ স্টোরিস অন দ্য মুভ’ ছবির দৈর্ঘ্য ২১ মিনিট। এর গল্প লিলি নামের ৩৬ বছর বয়সী এক নারী ট্যাক্সি ড্রাইভারকে ঘিরে। শৌখিন মৎস্যশিকারী দানির সঙ্গে সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন তিনি।
তৃতীয় পুরস্কারজয়ী আরেক ছবি ‘কান্তারেইরা’র ব্যাপ্তি ২৪ মিনিট। এতে দেখা যায়, সাও পাওলো শহরের বাসিন্দা বেন্তো পেশায় শ্রমিক। নিজের বেড়ে ওঠা দাদাবাড়ি চেরা দা কান্তারেইরায় ফিরে আসে সে। তবে শুধু প্রশান্তির জন্য নয়, চাকরিও চাই তার।
কান উৎসবের অন্যতম পরিচালক জিল জ্যাকব ১৯৯৮ সালে চালু করেন সিনেফঁদাসো বিভাগ। এবার বসেছিল এর ২৪তম আসর। এতে জমা পড়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৪৯০টি ফিল্ম স্কুলের ১ হাজার ৮৩৫টি ছবি। সেগুলো থেকে সেরা ১৭টি ছবি প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়।