পৌর সদরের সাথে নদের উত্তর পাড়ের কুমারগাড়া ও বড়সিংগা গ্রামের মানুষের যোগাযোগের এটি সহজ ও সংক্ষিপ্ত পথ। সরকারের অর্থায়নে এ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে। নদে বন্যার পানি প্রবেশ করায় সম্প্রতি নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আপাতত নদ পাড়াপাড়ের জন্য গ্রামবাসী স্বউদ্যোগে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে এ বাঁশের সেতু নির্মাণ করেন।
কয়েক বছর পূর্বেও বড়াল নদের বিভিন্ন স্থানে আড়াআড়ি মাটির ক্রস বাঁধ ছিল। নদটি তখন মৃতবস্থায় উপনীত হয়েছিল। বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির আন্দোলনের ফলে ২০১৬ সালে ক্রস বাঁধগুলো অপসারণ করা হয়। এর পর রামনগর,বোঁথর ও নতুন বাজার জার্দিস মোড় এলাকায় এ নদের উপর ৩টি সেতু নির্মিত হয়। নতুন বাজার খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ বিলম্বিত হয়। ওই সময় এলাকাবাসীর দাবির মুখে নদ পারাপারের জন্য পাবনা-৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেনের আর্থিক সহায়তায় এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে বড়াল নদের নতুন বাজার খেয়াঘাটে নির্মিত হয় বাঁশের চারাটের সেতু। সে বাঁশের সেতুর উপর দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে থাকে। চলতি বছরের প্রথম দিকে নতুনবাজার খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ভেঙে ফেলা হয় পুরোনো বাঁশের সেতুটি। কয়েক দিন পূর্বে নদের পানি বেড়ে গেলে পারাপার বন্ধের উপক্রম হয় এ দুই গ্রামসহ আশ পাশের কয়েক হাজার মানুষের। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী বাঁশ ও টাকা তুলে অস্থায়ী এ বাঁশের সেতু নির্মাণ করেন।
বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান জানান, ক্রস বাঁধ অপসারণের প্রায় ৪ বছর পর এ স্থানে ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে। ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ সমস্যাটি আর থাকবে না। আপাতত চলাচলের জন্য গ্রামবাসী উদ্যোগ নিয়ে বাঁশের সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করলো। এতে এলাবাসী উপকৃত হবে।