দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ৮/১০ ঘন্টায়ও ফেরিতে উঠতে পারছে না কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস। এতে সীমাহীন ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকা, নদীতে তীব্র স্রোত এবং যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রোববাার বেলা ১২টা নাগাদ পারাপারের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে ৮ শতাধিক যানবাহন। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পরিবহনের সাধারণ যাত্রী, পশুবাহী ট্রাক চালক, ব্যাপারী। রোববার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাড়কের পদ্মার মোড় পর্যন্ত ৫ দীর্ঘ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস, পশুবাহী ট্রাক রয়েছে। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার গুলোকে সরাসরি ঘাটে ঢুকতে না দিয়ে গোয়ালন্দ বাজার-চর দৌলতদিয়া গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ফেরিঘাটে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে পুলিশ।
অন্যদিকে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে অপচনশীল পণ্যবাহী যানবাহন আটকে দিচ্ছে পুলিশ। সেখানেও ৩ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন এলাকায় মহাসড়কে আটকে থাকা গরু ব্যবসায়ী মো. আফজাল হোসেন বলেন, আমি ১০ টি গরুবোঝাই ট্রাক নিয়ে ৮ ঘন্টার মতো মহাসড়কে আটকে আছি। জানি না কখন ফেরিতে উঠতে পারব। আর কখন গরুগুলোকে নিয়ে ঢাকায় পৌছাবো। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল এ রুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন,দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে একটি ফেরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে এই রুটে ছোট- বড় মিলিয়ে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। তিনি বলেন তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যে কারণে ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।