টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কেদারপুর সেতুতে (শেখ হাসিনা সেতু) সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ জারির প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কথিত ঈদ উৎসব শেষ করেই আজ ঈদের ৩য় দিনেও কমতি নেই দর্শনার্থীদের।
সরেজমিনে এসে দেখা যায়, ছোট-বড় নানা বয়সের তরুণ-তরুণীদের সংখ্যা ছিলো অধিকাংশ। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসতেও দেখা যায়। এক প্রকার মনের আনন্দেই জনসাধারণ এই সেতু কেন্দ্রীক বিনোদন নিতে এসে যায়। কলেজ পড়ুয়া ছাত্র রেদোয়ান বলেন, আমরা বন্ধুরা আনন্দ উপভোগ করতেই এই সেতুতে এসেছি, সারাদিন বাসায় ছিলাম বিকালে বের হয়েছি। লকডাউন কথা শুনেছি তবে সবাই এসেছে তাই আমরাও এসেছি। এদিকে সেতুর নিচের চিত্র ছিলো আরো জমজমাট, যেনো কোনো মেলার আয়োজন এখানে বিদ্যমান।
ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা তার সাথে বিকট শব্দের সাউন্ড সিস্টেম এর বাহারি গানে পুরো সেতু এলাকা প্রকম্পিত হচ্ছিলো। বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত তরুণ এইসব নৌকা এবং সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করে রীতিমতো বিনোদন করতে চলে এসেছে কেদারপুরের সেতু সংলগ্ন এলাকায়।নৌকা যাত্রী ফয়সাল জানায়, ঈদের আগেই নৌকা ভাড়া করে রাখা ছিলো, পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই মিলে আনন্দ করতে এসেছি এখানে। লকডাউনের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি নয় তিনি।
ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত এই কেদারপুর সেতুকে কেন্দ্র করে যেকোনো উৎসবের দিনে জনসাধারণ পরিপূর্ণ আনন্দ করে এটি নতুন নয়। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় চিত্র ভিন্ন হওয়া কাম্য ছিলো।