টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
গার্মেন্টস মালিকদের কাছে বার বার কেনো নতি স্বীকার?

গার্মেন্টস মালিকদের কাছে বার বার কেনো নতি স্বীকার?

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বার বার নতি স্বীকার করে সরকার রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে। সরকারের কেনো এই নতি স্বীকার। কি কারণে সরকার বার বার গার্মেন্টস মালিকদের কাছে নতি স্বীকার করছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার দেশে যতবারই লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে ততবারই গার্মেন্টস মালিকদের জন্য তা ভেস্তে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশে বেড়েছে সংক্রমণ ও মৃত্যু।

সর্বশেষ গত ৩০ জুলাই ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতি স্বীকার করে করোনা সংক্রমণ রোধে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আজ থেকে কলকারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। এর আগে গত ২৭ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে জানানো হয়, বিধিনিষেধে মধ্যে শিল্প-কারখানা খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকলেও তা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারকে ৫ আগস্টের আগে শিল্পকারখানা খোলা বিষয়ে শিল্পপতিসহ অনেকেই অনুরোধ করেছেন। কিন্তু এই অনুরোধ সম্ভবত রাখতে পারছি না। আর শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, সরকারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিশেষজ্ঞরাও বিধিনিষেধের মধ্যে কারখানা খোলার পক্ষে ছিলেন না।

তবে গত ২৯ জুলাই ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল ব্যবসায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে যত দ্রুত সম্ভব শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার অনুরোধ জানান তারা। এর একদিন পরেই (৩০ জুলাই) রপ্তানিমুখী সব শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আশা করবো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস শিল্প পরিচালিত হবে। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে হয়তো পরে সংক্রমণ বাড়বে না। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ বাড়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

চলতি বছরের করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রোধে এপ্রিলে বিধিনিষেধ আরোপ করলেও রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা উৎপাদন চালু ছিলো। গত ২৮ জুন শুরু হওয়া সীমিত এবং ১ থেকে ১৪ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধেও পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা চালু ছিলো। তবে গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শুরু হওয়া কঠোরতম বিধিনিষেধে সব ধরণের শিল্প-কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর থেকেই সরকারের সঙ্গে দেন দরবার শুরু করে পোশাক ও বস্ত্র খাতের পাঁচ সংগঠনের নেতাদের। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেন তারা।

তারা বলেন, কারখানা বন্ধ থাকলে বিদেশি বায়ারদের সব অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে। পরে গত বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল ব্যবসায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরেই রপ্তানিমুখী সব শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা আসে।

গত বছর এপ্রিলে করোনার সংক্রমণের প্রথম বিধিনিষেধের মধ্যেও কারখানা খুলে দেয়া হয়েছিল। ওই সময় কারখানা বন্ধ করতে চাননি শিল্প-মালিকরা। এতে সরকারেরও সরাসরি সায় ছিল। তবে সামাজিক দূরত্ব না মেনে হাজার হাজার শ্রমিক ঢাকা ও আশপাশের শিল্পাঞ্চলে ফিরেছিলেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে মালিকরা কারখানা বন্ধের ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital