বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ২৪ জনের লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। বেলা তিনটা পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আপনজনের শেষ চিহ্নটুকু পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। চোখের পানি মুছতে মুছতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তারা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। তৈরি হয় হৃদয়বিদারক পরিবেশ।
মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহত ৪৮ জনের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জেরর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মাহফুজুর রহমান জানান, আজ ২৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। বাকি মরদেহ শনিবার হস্তান্তর করা হবে। লাশ বহন ও দাফনের জন্য নগদ ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে স্বজনের হাতে। জেলা প্রশাসনের কর্মীরা এবং পুলিশ মিলে লাশ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই বিকালে রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় আগুনে তাৎক্ষণিক ৩জন মারা যান। পরদিন আগুন নিভিয়ে ফেলার পর ৪৮ জনের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানাধীন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মরদেহগুলো পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়। কিন্তু সবগুলো মরদেহ প্রায় আগুনে পুড়ে অঙ্গার ও কয়লার মতো হয়ে যাওয়াতে কার চেহারা বুঝা যায়নি। পরে পরিবারের লোকজনদের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।