টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
৭ বছর ধরে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে সুমন

৭ বছর ধরে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে সুমন

ঢাকার ধামরাইয়ে ছোট ভাইয়ের প্রেমিকাকে (রাজিয়া) প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কাওয়ালীপাড়া এলাকার শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, রাজিয়া আক্তারকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রেমিক সুমন হোসেনকে (বাবু) (২৬) ভুল যেতে বলেন শামীম হোসেন। এতে রিাজিয়া রাজি না হলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন শামীম।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বিয়ের দাবিতে সুমন হোসেনের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন। শুক্রবার (৬ আগস্ট) ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া গ্রামের মাঝি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রেমিকা রাজিয়া বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুমনের বাড়িতে অনশন করছিলো।

জানা যায়, গত সাত বছর ধরে সুমন ও রাজিয়ার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমন রাজিয়ার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করেছে। রাজিয়া সুমনকে বিয়ের কথা বললেই সুমন বলতো আমার বড় ভাই এখনো বিয়ে করেনি। বড় ভাই বিয়ে করার পরই আমি তোমাকে বিয়ে করবো।

গত শনিবার রাতে রাজিয়াকে ফোন করে সুমন তার কক্ষে যায়। পরে ভোর রাতে রাজিয়ার পরিবার সুমনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সুমন ও রাজিয়াকে ওই কক্ষে আটকিয়ে সুমনের পরিবারকে খবর দেয়। পরে সুমনের বড় ভাই শামীম হোসেন ঘটনাস্থলে এসে কৌশলে সুমনকে পালাতে সাহায্য করে এবং রাজিয়াকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে এই ঘটনা এখানেই ধামাচাপা দিতে বলেন। এতে রাজিয়া রাজি না হলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী রাজিয়া আক্তার জানান, ২০১৪ সাল থেকে সুমনের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। এর মধ্যে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। সুমন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার আমার সাথে গোপন সম্পর্ক করেছে। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে সুমন আমার কক্ষে আসে তখনও আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়।

পরে ভোর রাতের দিকে আমার পরিবার সুমনের উপস্থিতি টের পেয়ে আমাদের রুমে আটকিয়ে রাখে। পরে সুমনের বড় ভাই শামীমকে খবর দিলে সে এসে কৌশলে সুমনকে পালাতে সাহায্য করে এবং আমাকে বলে তোমাকে ২০ হাজার টাকা দিবো বিষয়টি ভুলে যাও।

তিনি আরো বলেন, পরে তার কথায় আমি রাজি না হলে হত্যার হুমকি দেয়। পরে আজ শুক্রবার সকালে বিয়ের দাবি নিয়ে আমি সুমনের বাড়িতে উঠেছি। আমি আসার পরপরই বাড়ির সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। শুধু সুমনের বাবা আছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুমনের বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলেরা বাড়িতে নেই। আমাকে বেশি কিছু বললে আমি ষ্ট্রোক করে মারা যাবো। এই যন্ত্রণা আর ভালো লাগে না।’

কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাছেল মোল্লা বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ছেলে-মেয়ে দুজনই প্রাপ্ত বয়স্ক। কিন্তু মেয়ে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ দিলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো।’

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital