টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের এতো অর্থ গেল কোথায়? সিগারের প্রতিবেদনে বিস্ময়

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের এতো অর্থ গেল কোথায়? সিগারের প্রতিবেদনে বিস্ময়

আফগান বাহিনীর সহজ আত্মসমর্পণ ও তালেবানদের কাবুল দখল অনেক প্রশ্নকে সামনে এনেছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো – তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলো কোথায়?

আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে গত দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ করা কয়েক হাজার কোটি ডলার যেনো চটজলদিই উড়ে গেলো। মার্কিন কংগ্রেসের ওয়াচডগ সংস্থা ‘স্পেশাল ইনস্পেক্টর জেনারেল ফর আফগানিস্তান রিকনস্ট্রাকশান (সিগার)’-এর এক প্রতিবেদনে এ নিয়ে নানা তথ্য উঠে এসেছে।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুক্রবার প্রকাশিত আনন্দবাজার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক হাজার কোটি ডলার ঢেলেছে। কিন্তু আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও অন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অগাধ সম্পত্তি থাকা বাবার বাউন্ডুলে ছেলের মতোই আচরণ করেছেন। ফুৎকারে উড়ে দিয়েছেন সব কিছু। আফগান নাগরিকদের কাজে লাগেনি। ফলে, আফগানদের কাছে মার্কিনীদের কোনও ভাবমূর্তিই তৈরি হয়নি। কয়েক হাজার কোটি মার্কিন ডলার নয়ছয় হয়েছে। আফগানিস্তানের উন্নয়ন হয়নি ছিটেফোঁটাও।

পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমটি জানায়, মার্কিন ওই প্রতিবেদনে চীন, রাশিয়া বা তালেবানকেও দায়ী করা হয়নি। এমনকি দেশ ছেড়ে ‘অর্থ নিয়ে পালানো’ আশরাফ গানিকেও দায়ী করা হয়নি।

আফগানিস্তান পুনর্গঠনের কাজে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বরাদ্দ করা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ কী কী ভাবে খরচ করা হচ্ছে, তা প্রাসঙ্গিক হচ্ছে কি না, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে কি না, ২০০৮ সাল থেকেই সে সব খতিয়ে দেখতে শুরু করে সিগার।

সিগার দেখেছে, গত ১৩ বছর ধরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ করা বিপুল অর্থের বেশির ভাগটাই ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তা আফগানিস্তান পুনর্গঠনের কোনও কাজেই লাগছে না।

গত দুই দশকে আফগানিস্তান পুনর্গঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ করা বিপুল অর্থের নয়ছয় হয়েছে – এমন অন্তত ১০টি প্রকল্পকে চিহ্নিত করে সিগার। কোনওটিতে কোটি কোটি ডলার খরচ করে আফগান বিমানবাহিনীর জন্য কেনা হয়েছে দেড় ডজনেরও বেশি পরিবহণ বিমান। কিন্তু বছরের পর বছর সেগুলোকে কাবুল বিমানবন্দরের লাগোয়া এলাকায় রেখে দেওয়া হয়েছে। কাজে লাগানো হয়নি। বেশির ভাগ বিমানেই আগাছা জন্মেছে। ভেঙেও গেছে বহু বিমান। সেগুলো পরে ফেলে দেওয়া জিনিসপত্রের দরে বিক্রি করা হয়েছে।

সিগার উল্লেখ করেছে, কোথাও আধুনিক জাতীয় সড়ক বানানোর এক মাসের মধ্যেই রাস্তা ফেঁটে দুই ভাগ হয়ে গেছে। হয়ে পড়েছে চলাচলের অযোগ্য, দুর্গম। তালেবান ও অন্য জঙ্গিদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য আফগান সেনাদের জন্য ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয়ে নতুন পোশাক বানিয়ে পাঠিয়েছিল পেন্টাগন। কোনও আফগান সেনার গায়ে ওঠেনি সে সব গত ২০ বছরে! আবার কোথাও আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ করা ৫ লাখ ডলারে বিশাল ভবন নির্মিত হওয়ার ৪ মাসের মধ্যেই দেওয়াল ফুঁড়ে জল ঢুকে সেই ভবনে কাজকর্ম অসম্ভব করে দিয়েছে। ভেঙে পড়েছে ইট, খসে পড়েছে বালি, সুড়কি।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital