ভার্চুয়ালি আয়োজিত ব্লেজ সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘জিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী স্বপ্ন হলো একটি ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণ করা। এই ব্লেজ সার্ভিস ক্যাশলেস সোসাইটিরই একটি অংশ।’
জয় আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্ব ও নির্দেশনার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে গত ১২ বছরে আইটি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে।
তিনি বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি সারা বিশ্বের মানুষের জীবনধারা ও অর্থনীতিতে পরিবর্তন এনেছে এবং চলমান করোনাভাইরাসের মহামারী তথ্য-প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ অনেক আগেই নিজেকে ডিজিটাইজেশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ায় দেশের অর্থনীতিকে কোভিড-১৯ মহামারীর ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখী হতে হয়নি। ডিজিটাইজেশনের কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারিকালে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভালভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, মহামারী শুরুর পরপরই ভিডিও কনফারেন্সিং এবং ই-ফাইলিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ। সফলভাবে এই সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
জানা যায়, সোনালী ব্যাংক, হোমপে এবং আইটিসিএলের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই ব্লেজ সার্ভিস চালুর হওয়ায় ‘হুন্ডি’র মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রবণতা কমে যাবে এবং দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো বাড়বে। এই সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে সহজে ও নিরাপদে দেশে পাঠানো যাবে। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সোনালী ব্যাংকই প্রথম এ ধরণের কার্যক্রম চালু করল। এতে প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠানো সহজ হবে এবং সুবিধাভোগীরা দ্রুত ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের টাকা গ্রহণ করতে পারবে।
বাংলাদেশে ৩৫টির মতো ব্যাংক ব্লেজ সেবাটি দিতে পারবে এবং সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা এই সেবা পাওয়া যাবে। হোম-পে, কিউক্যাশ ও সোনালী ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই ব্লেজ সেবার কারিগরি সহযোগিতা করেছে আইটিসিএল এবং আইসিটি বিভাগ।
এছাড়াও গত ১২ বছরে আইসিটি বিভাগ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। শুধুমাত্র তথ্য প্রযুক্তির কারণেই দেশের প্রায় চার কোটি মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক তৈরি হয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।
বিইএফটিএন, আরটিজিএস ও বিএসিএইচ’ ও মাধ্যমে মাসে যথাক্রমে ৫৪ হাজার ৪৯০ কোটি, ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪১১ কোটি এবং ৮৯ হাজার ৬৩ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। তাছাড়াও প্রতি মাসে এনপিএসবি’র অধীনে এটিএম, পিওএস এব আইবিএফটি মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৭২৫ কোটি, ১৩৮ কোটি এবং ৫৪২ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। দেশের নগর ও গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে ই-কমার্স বিস্তৃত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫ লাখেরও বেশি গ্রহিতা ‘ এক শপ’র মাধ্যমেই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। খবর বাসস।