মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের সকল জনগণের মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলো প্রয়োজন।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র নিহতদের স্মরণ করে ও এই নৃশংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানায়। একইসাথে নিহত ও নির্যাতিতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সেদিন সামরিক জান্তার নৃশংসতা ও বর্বরতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিবেককে হতবাক করেছিল। আমরা স্বীকার করি যে রোহিঙ্গারা কয়েক দশক ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে এখনো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
একই সামরিক নেতারা যারা ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, তারা সারাদেশে গণতন্ত্রপন্থী কর্মী, জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে, আমরা দেখেছি ২০১৭ সালে একই লাইট ইনফ্যান্টি ব্রিগেড রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালিয়েছে। একই বাহিনী জান্তার অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্মম সহিংসতা চালাচ্ছে।
অভ্যুত্থান ও সামরিক বাহিনীর পরবর্তী অভিযানের বর্বরতা মিয়ানমারজুড়ে রোহিঙ্গাসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিপদজনক পরিস্থিতি আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
২০২১ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের মানবিক সঙ্কটের মোকাবিলায় যৌথ পরিকল্পনা কার্যক্রম শুরু করার সময় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা কমিউনিটির সদস্যদের পাশাপাশি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তার জন্য প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন ডলার নতুন সহায়তার ঘোষণা দেয়।
সূত্র : বাসস