যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচএস) বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেখানকার লোকজনকে ব্যাপক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। ইতিমধ্যে লুইজিয়ানার প্রায় তিন লাখ মানুষ অন্ধকারে রয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় আগেই উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ইতিমধ্যে ওই এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।
মিসিসিপিসহ আলাবামা-ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সীমান্ত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যাওয়ার পূর্বাভাসে দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঝড়ের পাশাপাশি এসব অঞ্চলে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাতও।
লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ড জানান, ১৮৫০ সালের পর উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ধরা হচ্ছে ‘আইডা’কে।
উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এটিকে মানুষের জীবনের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
নিউ অরলিন্সের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অফিসের পরিচালক কলিন আরনল্ড সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানার পর নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন