এছাড়াও পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার ও বড়াল নদের ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা সদর, ঈশ্বরদী, বেড়াসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় সবজি ও ফসলের খেত তলিয়ে গেছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েকদিনের তুলনায় পদ্মা, চলনবিল, বড়াল, গুমানি, চিকনাইসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি কমতে বাড়তে করেছে।
জানা যায়, পদ্মা ও যমুনার তীরবর্তী নিচু এলাকাতে পানি প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে উঠতি নানা ধরনের শবজী ও ফসলের খেত। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে তীরবর্তী জনসাধারণ। অনেকেই ইতোমধ্যে বাড়িঘর সরাতে শুরু করেছে। নদী ভাঙন ও পানিবন্দিরা উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন।
সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর, চরখলিলপুর এবং কালিকাপুর এলাকা, পাবনা সদরের আশুতোষপুর, বলরামপুর, রানীনগরে ভাঙন ও পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলায় প্রায় ৫ শতাধিক হেক্টর জমির নানা ফসল ও সবজি তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, পানি বৃদ্ধি বা ভাঙনের চিত্রটা এখনও ত্রাণ দেওয়ার মতো নয়। তবে সরকারি ত্রাণ সহায়তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ঘরবাড়ি হারিয়ে যারা অন্যত্র আশ্রয় নেবেন তখন বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়।