রবিবার (২৯ আগস্ট) সকালে জমির মালিক হবিবর রহমান নিজে বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় জমি জবর দখলকারী কালিকাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রেদওয়ান এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উক্ত জমিটি হাবিবর রহমানের পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ভোগদখলীয় সম্পত্তি। পৈতৃক সূত্রে দলীল মূলে ১৩৫৬ নং খতিয়ান ও দাগনং ৩০৬৮ এর ১২ শতাংশ এর মধ্যে তিন ভাই ০৬ শতাংশ করে ভাগ পায় তারা। তার মধ্যে রাস্তা সংলগ্ন উত্তর দিকের ০২ শতাংশ জমির মালিক হবিবর রহমান। যা তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করে আসছিলেন। যাতে হবিবর রহমানের বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছপালা আছে। একই দাগের মধ্যে থাকা বাকী ০৪ শতাংশ জমি তার অন্যন্য অংশীদারদের কাছ থেকে ইতিপূর্বে ক্রয় করেন রেদওয়ান। রেদওয়ান (৪০) পিতা মৃত ইয়াছিন আলী তিনি একই উপজেলার এবং একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আমার (হবিবর) এর অন্যন্য অংশীদারদের জমি ক্রয় করার পর আমার জমি ক্রয় করার জন্য প্রস্তাব দিলে আমি উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখান করি। তারই জের ধরে রেদওয়ান আমার উপর মনঃক্ষুন্ন হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং তার ক্রয়কৃত জমির পাশে আমার জমি থাকায় জবর দখলের উদ্দেশ্যে গত ২৫-০৮-২০২১ ইং তারিখে রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় তার দলবলসহ আমার ভোগ দখলী সম্পত্তির অনুমান ১ শতাংশ জমি এবং জমিতে থাকা গাছপালাসহ টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দখল করে নেন রেদওয়ান। লোক মারফত উক্ত বিষয়টি জানতে পেরে আমি আমার সম্পত্তিতে উপস্থিত হয়ে কেন আমার জমি জবর দখল করেছে জানতে চাইলে রেদওয়ান ও তার দোসরগণ আমার সাথে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলেন।
এক পর্যায়ে আমি তাদেরকে আমার সাথে খারাপ আচারণ করতে নিষেধ করি এবং আমার সম্পত্তি থেকে বেড়া অপসারণ করতে বলি এতেই তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিটমুখী হয়ে ওঠেন। গ্রামবাসীদের হস্তক্ষেপে তারা আমাকে মারপিট করতে না পেরে প্রকাশ্যে তাদের দলবল নিয়ে আমাকে খুন ও গুম করার হুমকি প্রদর্শন করেন। অন্যথায় তারা নিজেরাই যেকোনো ঘটনার সৃষ্টি করে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, জেল হাজত খাটানোসহ নানান ভয়ভীতির হুমকি প্রদর্শন করেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়
সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক রেদওয়ান হবিবর রহমানকে মারপিট করতে না পারায় তাকে প্রকাশ্যে খুন ও গুম করার হুমকি দেন। কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।