টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
নাগরপুরে বন্যার পানি বেড়ে চলায় পানি বন্দি হাজারো পরিবার।

নাগরপুরে বন্যার পানি বেড়ে চলায় পানি বন্দি হাজারো পরিবার।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় বন্যার পানি বেড়ে চলায় বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। চার দিক নদী বেষ্টিত এই উপজেলা প্রতিবছর বন্যায় কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েই থাকে।

এবার বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পুরো উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে কয়েক হাজার  পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে। কৃষি ভিত্তিক এই উপজেলায় একদিকে ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে অন্যদিকে পানি বন্দি জীবনযাপন করছে স্থানীয় জনসাধারণ। ব-দ্বীপ খ্যাত এই নাগরপুর উপজেলায় একপাশে যমুনা নদী অন্যপাশে ধলেশ্বরী নদী  বিদ্যমান। ফলে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদী সহ অন্যান্য নদী সমূহের পানি অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক সহ ভিটে-বাড়ি ডুবে গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বিষমপুর এলাকায় ঈদগাহ মাঠ সহ বটতলা পুরো বাজার প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়াও নাগরপুর সদর পানান-পাইশানা এলাকা, গয়হাটা, ভাড়রা ও সহবতপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত অবস্থায় আছে। বিষমপুর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যা আসলে পুরো উপজেলায় আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হই। সড়ক, বাজার ও বসত বাড়ি সব পানির নিচে।
আমাদের রোজগারের পথ বন্ধ এবং এখনো ত্রাণ না পাওয়ায় আমরা হতাশ। কথা হয় কৃষক সানি মিয়ার সাথে তিনি জানায়, আমন ধান সব পানির নিচে, এখন ঘাস ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় গরুর খাদ্য সংকটে আছি। আমরা খুবই অসহায় জীবনযাপন করছি। এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধলেশ্বরী নদীর পানি বাড়লেও যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি কমেছে। পানি বৃদ্ধির বিষয়ে, নাগরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের স্থানীয় সাংসদের নির্দেশক্রমে বন্যার শুরুতেই সম্ভাব্য প্লাবিত অঞ্চল নিজে গিয়ে দেখেছি এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি চলছে। আশাকরি দ্রত ত্রাণ বিতরণ কার্য আমরা শুরু করবো। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার  নাগরপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও  টাঙ্গাইল সদর  এ চারটি উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তালিকা পেলে যথাস্থানে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭৫০ পরিবার পুরো উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই সাথে ক্ষয়ক্ষতির  বিবেচনায় জরুরী ভিত্তিতে ৫ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে নাগরপুরে জনসাধারণে দুর্ভোগ বাড়ছে। সময়মত প্রয়োজনীয় ত্রাণের সাহায্য আসবে বলে আশাবাদী স্থানীয় এলাকাবাসী।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital