পাবনায় গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে টিকা নিতে জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় করতে থাকেন। কিন্তু টিকা কেন্দ্রেগুলোতে বিশ্রাম নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অবস্থান করে দেখা যায়, কক্ষের বাইরে বসার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় টিকাপ্রত্যাশীদের এক-দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এ সময় গাদাগাদি করে নারী-পুরুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। টিকা কক্ষের বাইরে নিবন্ধন যাচাই–বাছাইয়ের জন্যও মানুষের ভিড় ছিল। এর মধ্যে কেউ কেউ নিবন্ধনের ফটোকপি বা হাতে লেখা নিবন্ধন কপি আনায় বিড়ম্বনার শিকার হন।
এদিকে পাবনার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি উধাও হয়ে গেছে। অনেকেই মেসেজ পেয়ে কেন্দ্রে গেলেও টিকা নিতে না পেরে ফিরেও এসেছেন।
টিকা নিতে আসা অনেকে অভিযোগ করে বলেন, রেজিস্ট্রেশন করার পরও মোবাইলে অনেকেই মেসেজ পাচ্ছেন না। আবার মেসেজ পাওয়ার পর হাসপাতালে এসে টিকা পাচ্ছেন না। সকালে প্রচুর মানুষ টিকা নিতে ভিড় করেছেন হাসপাতালে। প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে আসা বিভিন্ন বয়সী মানুষের চাপে হিমশিম খেয়েছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ তামি জানান, তিন-চার দিন ধরে প্রতিদিন হাসপাতালে এসে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম নামে অপর একজন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী দু’জনেই টিকার মেসেজ পেয়েও গত ৯ দিন ধরে হাসপাতালে এসেও টিকা পাচ্ছি না। প্রতিদিন আজ না কাল, কাল না পরশু এভাবে ঘোরানো হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম শামিম বলেন, টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ কারণে রেজিস্ট্রেশন করার পরও মেসেজ পেতে দেরি হচ্ছে। একই কারণে মেসেজ পাওয়ার পরও কেউ কেউ টিকা দিতে না পেরে ফিরে গেছেন।