টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
বড় অফিসার পরিচয়ে ফাঁদ পেতে নারীদের ধর্ষণ করতো মনির

বড় অফিসার পরিচয়ে ফাঁদ পেতে নারীদের ধর্ষণ করতো মনির

স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের সঙ্গে প্রথমে মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতেন সৈয়দ মনির হোসাইন ওরফে মশিউর ওরফে মইনুল ইসলাম। ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই ফেসবুক, ইমু, হোয়াটঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের আপত্তিকর ছবি নেওয়ার পর সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি তাদের ছবি, ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকাও নিতেন সৈয়দ মনির হোসাইন।

ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী একাধিক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানাধীন বাংলা কলেজের সামনে থেকে ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ সৈয়দ মনির হোসাইনকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)। মইনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলায়। তার বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

র‌্যাব বলছে, ধর্ষণের আগে এসব নারীর সঙ্গে অনলাইনে ভুয়া পরিচয় দিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন ৩৪ বছর বয়সী মনির। আর সে ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে নানাভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ছবি, ভিডিও সংগ্রহ করতেন। পরে সে সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করতেন মনির।

র‍্যাব জানায়, এতেও শেষ হতো না মনিরের যৌন নিপীড়ন-অধ্যায়। ধর্ষণের সময় সে চিত্র গোপনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে নারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করতেন মনির। নানা হুমকি আর হয়রানির মুখে ওই নারীরা মনিরকে বিভিন্ন অংকের টাকা দিতে বাধ্য হতেন। এভাবেই এক নারীকে ধর্ষণের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন মনির। পেশায় স্যানিটারি মেকানিক হলেও নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে নিজেকে বড় অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতেন মনির।

র‌্যাব কর্মকর্তা (এএসপি) মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত মনির ভুক্তভোগী এক নারীকে গত ৮ মাস যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে তার আপত্তিকর ছবি সংগ্রহ করে। এরপর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। এছাড়াও তার ছবি, অডিও-ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে আসছিলো। এছাড়া একই পন্থায় একাধিক নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলো এই ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, আসামি মনির পেশায় একজন স্যানিটারি মেকানিক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সে এর আগেও এমন অনেক নারীকে ধর্ষণ করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব কাজের জন্য সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নারীদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করতেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital