ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, রামকৃষ্ণ দীর্ঘ ছয় মাস ধরেই এই কাজ করছিলেন। স্থানীয় অনেককেই এভাবে ফোনে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে হেনস্তা করত। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। জেরায় নিজের দোষ স্বীকারও করে নিয়েছে রামকৃষ্ণ।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি নম্বর থেকে একাধিক নগ্ন ছবি পাওয়ার বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে স্থানীয় থানায়। এরপরই নম্বরটি কার জানতে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু ফোনটি সুইচড অফ থাকায় বেশ কিছুদিন তল্লাশি করেও রামকৃষ্ণের হদিস পায়নি পুলিশ। শেষে গত শুক্রবার ফোনটি অন করতেই পুলিশ তার লোকেশন হাতে পেয়ে যায়। এরপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পরে জেরায় ওই ব্যক্তি পুরো ঘটনাটি জানান।
পুলিশ আরও বলেন, ইচ্ছেমতো নম্বর ডায়াল করতেন। ফোন রিং হলেই রেখে দিতেন। তারপর সেই নম্বরে একের পর এক নগ্ন ছবি পাঠাতেন। চাল্লাকেরেরই অন্তত ৫০ জন নারীকে এভাবে নগ্ন ছবি পাঠিয়েছিলেন। লজ্জার খাতিরে প্রথমে অনেকেই অভিযোগ জানাননি। তবে ওই ব্যক্তির গ্রেফতারের খবর পেয়ে অনেকেই আবার সাহস করে এগিয়ে এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন।’