সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিমলায় এলাকায় শনিবার দুপুর ১২টায় হঠাৎ তীব্র ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনের তীব্রতায় মুহুর্তের মধ্য একটি পাকা মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শতশত মানুষ চোখের সামনে তাদের প্রিয় মসজিদটি বিলীন হতে দেখে।
এ সময় সকলেই আল্লাহ আকবার ধ্বনি দিতে থাকেন। ভাঙনের দৃশ্যটি দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর আকস্মিক ভাঙন শুরু হওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে পাঁচঠাকুরীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম। ভাঙনরোধে পাউবোর লক্ষ টাকা ব্যয়ে যে জিওব্যাগ ফেলেছিল তা কোন কাজেই আসছে না। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত ২৪ ও ২৫ জুলাই ভয়াবহ ভাঙনে সিমলাস্পার ভেঙে এলাকার ৩ শতাধিক বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সবকিছু হারিয়ে এসব মানুষ ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করে। কিন্তু কোনো কিছুই যেন মানছেনা যমুনা নদী। শনিবার দুপুরে একই স্থানে হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হয়। মুহুর্তের মধ্যে মসজিদটি বিলীন হয়ে যায়। আর ভাঙনের মুখে রয়েছে হাজার হাজার বসতভিটা ও ফসলি জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, সিমলা স্পার ডেবে যাবার পর এ অঞ্চলে ভাঙ্গন শুরু হয়। পানি হ্রাস ও বৃদ্ধির কারণে ভাঙনের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। আমরা জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ডাম্পিং করেছি। তারপরেও তীব্র ভাঙন ও গভীরতার কারনে ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। যে কারণে মসজিদটি নদীগর্ভে চলে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে কাজ শুরু করে এ অঞ্চলটি রক্ষা করা হবে।