স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের গাড়ি চালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারের পর তার শত কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি, চাঁদাবাজি, জাল টাকার ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তার কাছ থেকে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার জাল টাকা ও একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে এক সংবাদ সন্মেলনে র্যাব জানায়, ঢাকায় তার ২৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিলাসবহুল ৭ তলা তিনটি বাড়ি আছে। ছেলের নামে তুরাগে ডেইরি ফার্ম করেছেন কোটি টাকা দিয়ে।
শুধু সম্পদেরই পাহাড় গড়েননি আব্দুল মালেক, নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহণ বাণিজ্যকেও। নানা পন্থায় বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন নিজের ২৭ জন আত্মীয়কে। তার বিরুদ্ধে দুদকেও অভিযোগ আছে।
মালেক নিজে গাড়ি চালক হলেও মহাপরিচালকের জন্য বরাদ্দকৃত একটা সাদা পাজেরো জিপ গাড়ি নিয়মিত ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের আরও দুটি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালেক জানান, তিনি পেশায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের একজন ড্রাইভার এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি। তিনি ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কর্মরত রয়েছেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, মালেক আমার গাড়ি চালক ছিলেন না। মালেক স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের চালক ছিলেন।