সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগকর্মী তারেকুল ইসলামকে আটক করেছে র্যাব-৯। তিনি মামলার দুই নম্বর আসামি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের গরমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি লম্বা দাড়ি এবং চুল কেটে আত্মগোপনে চলে যান। কিন্ত চুল-দাড়ি কেটেও রক্ষা পেলেন না তিনি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের এএসপি আব্দুল্লা ও এসআই কাজল দেব-এর নেতৃত্বে একদল র্যাব অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওর বেষ্টিত গরমা গ্রামের মৃত ইসলাম আলীর ছেলে আলী হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। রাত ৮টায় গেপ্তাতারকৃত তারেককে নিয়ে দিরাই থানায় পৌঁছায় র্যাবের একটি দল। থানা ঘাট থেকে গাড়ীতে করে সিলেট নিয়ে যাওয়া হয়।
থানা ঘাটে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের র্যাবের কমান্ডিং অফিসার লে. কমান্ডার ফয়সল আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিলেটে যাওয়ার পর ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবেন।
র্যাব-৯ এর কর্মকর্তা এএসপি কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে সিলেট নিয়ে আসা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার তারেক সুনামগঞ্জ পৌরশহরের উমেদনগর নিসর্গ ৫৭ নম্বর বাসার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকারের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইনউদ্দিন ও রাজন নামে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও সিলেট রেঞ্জ পুলিশ।