কতটা নৃশংস, কতটা পাষণ্ড আর বর্বর হলে এভাবে বিবস্ত্র করে একজন নারীকে নির্যাতন করা যায়? উত্তরটা বোধহয় কারোই জানা নেই।
এরা যে পশুর চেয়েও ভয়ানক তারই প্রতিফলন এই বর্বরতা। রোববার দুপুরে যখন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ভাইরাল। সারা দেশে ছি ছি রব!
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক নারী সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় গোঙাচ্ছে, কাঁদছে; সেই সঙ্গে বলছে-বাবা গো আমাকে ছেড়ে দে। ‘আব্বা গো তোর আল্লাহ’র দোহাই ছাড়ি দে!
আশপাশের ২০-২৫ বছরের ছেলে গুলো হায়েনার মতো হাসছে আর বলছে-উল্টা, উল্টা, উল্টা! কারণ বিবস্ত্র ওই নারী নিজেকে বাঁচানোর জন্য ওপর হয়ে শুয়ে কাঁদছিল আর বলছিল-এরে আব্বা গো, তোগো আল্লাহ’র দোহাইরে।
ঘটনাটি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের। এরিমধ্যে ঘটনার মূল হোতাদের পরিচয় পাওয়া গেছে।
এ দিকে বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয় সেজন্য অভিযুক্ত দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবারকে এতদিন অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে ঘটনাটি ধামাচাপা থাকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিষয়টি কাউকে জানাননি। তাই ঘটনার ৩২ দিন পার হলেও এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করতে পারেননি তিনি।
এ ঘটনায় রবিবার (৪ অক্টোবর) আবদুর রহিম (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। আর পুলিশের ৫টি ইউনিট অন্য বখাটেদের ধরতে অভিযানে নেমেছে।
বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নজরে আসে। এরপর এ বিষয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি।
থানা সূত্র আরও জানায়, পুলিশ ভিকটিম ওই নারীকে তার বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করে। তিনি পুলিশকে জানান, ২০/২৫ দিন আগে এ ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবদুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।