এদিকে মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মেলায় জেলেদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। কিন্তু মহাজনের ধারদেনা পরিশোধের আগেই নিষেধাজ্ঞার কারণে হতাশ মৎসজীবীরা।
সরেজমিনে জেলার একাধিক মাছঘাট ঘুরে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞার কারণে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে সব ধরনে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নষ্ট করার মতো সময় নেই ইলিশ শিকারীদের হাতে। জাল টেনে যা পাচ্ছে তা আড়তে রেখে আবার ছুটছে নদীতে।
নিষেধাজ্ঞার আগ মুহুর্তে ইলিশের দেখা মিলেছে ভোলার জেলেদের জালে। সারা বছরের অপেক্ষার যেন কিছুটা অবসান ঘটিয়ে ঘাটগুলোতে ফিরে এসেছে কর্মব্যস্ততা। গত কয়েক মাস ধরে যে ঘাটগুলোতে সুনসান নীরবতা ছিল এখন সেখানে জেলে ও পাইকারদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
ইলিশের দাম বেশি হওয়ায় জেলেরা যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমনি মৎস্য আড়ৎদাররাও তাদের লোকসান পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানকে ঘিরে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে জেলেদের মাঝে।
এ সময় কথা হয় সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের জেলে ইসমাইল মাঝি, খলিল মাঝিসহ ১০-১২ জনের সাথে। তারা জানান, প্রতি বছরেই আকাল কাটিয়ে নদীতে যখন ইলিশ আসতে শুরু করে তখনই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এতে করে তারা ক্ষতির মধ্যেই থেকে যাচ্ছে। তাই অভিযান আরো ১৫ দিন পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানান তারা। সেইসাথে সকল জেলেদেরকে সরকারি সহায়তার চাল দেয়ার দাবিও করেন তারা।
অপরদিকে ইলিশা মাছঘাটের আড়তদার মোঃ শাাহাবুদ্দিন, রুবেল বেপারী ও ইউনুছ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন নদীতে মাছ না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা জেলেদেরকে লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে বেকার বসে ছিলো। গত কয়েকদিন ধরে নদীতে মাছের দেখা মেলায় কিছুটা ক্ষতি পুসিয়ে নেয়ার আশা ছিলো। কিন্তু ১৪ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরু হলে এবছর লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
ভোলার মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. আজহারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইলিশের উৎপাদনের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব হবে।
এ বছর ভোলা জেলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬৫ হাজার মে. টন। মৌসুমের প্রথম ৩ মাসেই ধরা পড়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মে. টন ইলিশ।