এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই স্পেনকে চেপে ধরে সুইজারল্যান্ড। ম্যাচের ১৯ মিনিট থেকে ২৬ মিনিট এই সাত মিনিটেই চারবার গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করে সুইসরা। অবশেষে ম্যাচের ২৬ মিনিটের মাথায় প্রথম লিড পায় সুইসরা। ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে এম্বোলোর দারুণ এক ক্রসে বল জালে জড়ান রেমো ফ্রেউলার। অন্যদিকে তেমন ভালো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় প্রথমার্ধে গোল পায়নি স্পেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সুইজারল্যান্ড।
বিরতির পর ৫৫ মিনিটের মাথায় আবারও প্রায় গোল হজম করে ফেলছিল স্পেন। তবে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে দলকে বাঁচান রামোস। এর মিনিট দুই পরে রামোসের করা হেড সুইস ডিফেন্ডার রিকার্দো রড্রিগেজের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রামোস। স্পট কিক থেকে রামোস শট নিলে তা ঠেকিয়ে দেন সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সুম্মার। এরপর কর্নার থেকে রামোসের করা হেড আবারও ঠেকিয়ে দেন সুম্মার। আর তাতেই সমতায় ফেরা হয়নি স্প্যানিশদের।
এরপর ম্যাচের ৭৯ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরার আরও এক সুযোগ পায় রামোস। ডি বক্সের ভেতর আলভারো মোরাতা ফাউলের শিকার হলে দ্বিতীয়বারের মতো পেনাল্টি পায় স্পেন। তবে এবারও স্পট কিক থেকে নেওয়া রামোসের শট রুখে দেন সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সুম্মার। ফলে দ্বিতীয় বারের মতো সমতায় ফেরা হয়নি স্পেনের।
তবে রামোস বারবার ব্যর্থ হলেও ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দলকে হারের হাত থেকে বাঁচান জেরার্ড মোরেনো। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে সার্জিও রেগুলনের অ্যাসিস্ট থেকে জেরার্ড মোরেনো গোল করে স্পেনকে সমতায় ফেরায়।
এদিকে ম্যাচ শেষে স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিক ছিলেন রামোসের পক্ষে। প্রথমবার গোল না পাওয়ার পর আবারও রামোসকে দিয়েই পেনাল্টি নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তৃতীয় এবং চতুর্থ পেনাল্টিও পেতাম তাহলেও আমি রামোসকেই পাঠাতাম। আপনারা রামোসের পেছনে লাগা বন্ধ করুন, সে টানা ২৫টি পেনাল্টি থেকে গোল করেছে।’
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ড্র করে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে নেমে এসেছে স্পেন। পাঁচ ম্যাচে দুই জয়,দুই ড্র ও এক হারে তাদের পয়েন্ট ৮। অন্যদিকে সমান ম্যাচে দুই জয় ও তিন ড্র’তে ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রথমে রয়েছে জার্মানি।