আজ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনে কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। একনেক বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদন পায়।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভপতিত্ব করেন। সভার কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন-কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় প্রবাসীদের স্মার্ট এনআইডি কার্ড সরবরাহ করা হবে। যেন বিদেশে তাদের সেবা পাওয়া সহজ হয়। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রাবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করে ফিরে আসবেন। পরবর্তীতে তাদের ঠিকানায় সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস স্মার্ট এনআইডি কার্ড পৌঁছে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় ১৪ বছরের বেশি বয়সীদের স্মার্ট এনআইডি কার্ড দেওয়া হবে।’
নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে বয়স ১৪ বছরের বেশি হবে এমন ১৭ কোটি ৭৩ লাখের বেশি নাগরিককে স্মার্ট এনআইডি কার্ড দেওয়া হবে। সুরক্ষিত, নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য জাতীয় পরিচয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে ২০১১ সালে আইডিইএ প্রকল্পের প্রথম পর্ব শুরু হয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায় শেষ করতে কমিশন চার বার সময়সীমা বাড়িয়েছে। ফলে বেড়ে গেছে প্রকল্পের খরচ। চার বারের মতো বর্ধিত সময়সীমা আগামী মাসে শেষ হবে। এক হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের খরচ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা।
প্রথম পর্বে উপজেলা পর্যায়ে প্রায় নয় কোটি ভোটারকে এনআইডি কার্ড দেওয়ার কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত সাড়ে ছয় কোটি কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।