ফেন্সিডিলগুলো সোনামসজিদ এলাকা থেকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মহানন্দা ব্রিজ টোলঘর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল।
তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘রাজশাহী জেলা পরিষদের একটি পাজেরো জিপ গাড়িতে (রাজ মেট্রো ঘ-১১-০০৭১) তল্লাশি চালানো হলে গাড়ির ভেতর একটি ব্যাগে কোল্ড ড্রিংক্সের পাঁচটি বড় বোতলে ফেন্সিডিলসহ তাকে আটক করা হয়। পাঁচটি বোতলে থাকা ফেন্সিডিলের পরিমাণ কমপক্ষে ৬৫ বোতলের সমান হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ‘সরকারি গাড়িতে করে নুরুজ্জামান ফেন্সিডিল নিয়ে যাচ্ছিলো। এসময় তিনি ওই গাড়িতেই ছিলেন। তাকে আটকের পর তিনি নিজেকে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দেন। তখন তাকে সার্কিট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে অনুমতির প্রয়োজন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘তবে এ ঘটনা থেকে ছাড় পাবার কোনো সুযোগ নেই। মাদক আইনে মামলা না হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবেই’ বলেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল।
মাদকসহ আটকের পরও মাদক আইনে নিয়মিত মামলা হবে না কেনো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যেটা চাইবে সেটাই হবে।’
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘টেলিভিশনে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের খবর দেখেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি জানি না।’
জানা গেছে, নুরুজ্জামান ২০১৫ সালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। সে সময় তিনি নিয়মিত ফেন্সিডিল সেবন করতেন। ফেন্সিডিল সেবন করার জন্য তিনি প্রতিদিন চারঘাট ও বাঘা উপজেলার সীমান্তে সরকারি ও নিজস্ব গাড়ী নিয়ে চলে যেতেন। সাধারণ মানুষের মুখে ছিলো তার মাদক সেবনের নানান গল্প।