নেত্রকোনা জে’লার বারহাট্টা উপজে’লার সাহতা ইউনিয়নের সাহতা গ্রামে এ ঘ’টনা ঘ’টেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার আবুল মনসুর খানের বড় ছেলে মেহেদী হাসান খান রনি শৈশবে হেলিকপ্টার উড়তে দেখে বাবার কাছে হেলিকপ্টারে চড়ার আবদার করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর।
ওই সময় বাবা বলেছিলেন, বড় হওয়ার পর তোমাকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে দেব। অবশে’ষে ২৭ বছর পর ছেলের বিয়ের আয়োজনটাই হেলিকপ্টারে চড়িয়ে করলেন বাবা। আর এর জন্য গুনে গুনে তাকে খরচ করতে হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
এর মাধ্যমে ছেলের শখ পূরণ হওয়ার পাশাপাশি তার জীবনের একটা স্মৃতি হয়ে থাকল। নববধূ প্রকৌশলী জান্নাতুল ফেরদৌস আলিফা ও বর মেহেদী হাসান খান রনির বিয়ে পারিবারিকভাবেই সম্পন্ন হয়। নববধূ ঢাকার বেইলি রোডের ব্যবসায়ী আলমগীর কবিরের বড় মেয়ে।
বরের বাবা মো. আবুল মনসুর খান একজন কৃষক। ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে নিজের জমি বিক্রি করেন তিনি। ছেলের স্বপ্ন পূরণ করায় খুশি তিনিও। বিষয়টিতে খুব খুশি এলাকাবাসীও।
ছেলের বাবা আবুল মনসুর খান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে রওনা হয় তার ছেলে। ওইদিনই বাড়িতে বউভাতের আয়োজন করা হয়।
প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান রনি বলেন, আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ার। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। এজন্য আমি বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পল্টন সরকার বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা আমার এলাকায় এটিই প্রথম। আমার জানা মতে, এর আগে বারহাট্টা উপজে’লার সাহতা ইউনিয়নে এভাবে কারো বিয়ে করার ঘটনা ঘটেনি।