জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ধর্ষণের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নন্দ রানী নামে এক নারীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় দেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামের নন্দ রানীকে দীর্ঘদিন ধরে আসামি আবুল হায়াত আলী রাস্তা-ঘাটে উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে সে রাজি না হওয়ায় হায়াত আলী তার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল। একপর্যায়ে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে পূর্ব পরিচিত মৎস্যজীবী আবুল হায়াত আলী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে মর্মে কালাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নন্দ রানী।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে বাদীকে হাজির করা হলে তিনি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে স্বীকার করেন। এ সময় বিচারক তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের দণ্ড দেন। আর আসামি আবুল হায়াত আলীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলার বাদী শ্রীমতী নন্দ রানী আদালতে উপস্থিত হয়ে বিচারককে বলেছেন, তিনি অন্যের প্ররোচনায় মিথ্যা মামলা করেছিলেন। তখন বিচারক মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ড দেন। আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে একই আদালত মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় তিনটি ধর্ষণ মামলার বাদীকে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আজকের ঘটনায় এ সংখ্যা দাঁড়াল চারে।
জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক সুনীল কুমার ঘোষ বলেন, ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় আদালত মামলার বাদী শ্রীমতী নন্দ রানীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।