বিকৃত যৌনাচারের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিনের (১৭) মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। প্রাথমিকভাবে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই কথিত প্রেমিক ফারদিন ইফতেখার দিহান আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জানা গেছে, দিহানের বাসা রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাস এলাকায়। গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরের রাতুগ্রামে। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রব সরকার। তিনি তার বড় ছেলে সুপ্তকে নিয়ে গ্রামে থাকেন। আর মা সানজিদা সরকার শিল্পীর সঙ্গে দিহান ও তার মেজ ভাই নিলয় থাকেন ঢাকায়। নিলয় এক বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে দিহান সবার ছোট। দিহান ও আনুশকার মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এই বন্ধুত্বের বিষয়ে তাদের দুই পরিবারও জানতো। যদিও আনুশকার মা এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন।
আরো জানা গেছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে দিহানের পরিচয় হয় তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে। যা একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। দিহান ওই কিশোরীর চেয়ে দুই বছরের বড়। গত বছর ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল শেষ করে দিহান। এখন সে জিইডি’র প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীটি অচেতন হয়ে পড়লে দিহান প্রথমে কিশোরীর মাকে ফোন করেন। তখন কিশোরীর মা তাকে দিহান বলেই সম্বোধন করেন। দিহান যখন কিশোরীর অচেতন হওয়ার কথা জানায়, তখন কিশোরীর মা জানতে চান তারা কোথায় আছে। দিহান উত্তরে নিজের বাসার কথা বললে কিশোরীর মা বলেন, বাসায় আর কে কে আছেন? দিহানের উত্তরে তিনি আবার বলেন, ফাঁকা বাসায় তোমরা দুজন কী করছো?
এর আগে, ওই স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার ‘বন্ধু’ তানভীর ইফতেফার দিহানকে (১৮) একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আলামিন। এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকে আটক দিহানের তিন বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।